গত জুলাই-আগস্টে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলা করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। সেখানে তারা এ বিষয়ে কথা বলেন।
বৈঠকে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এর জবাবে প্রখ্যাত ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজ্ঞ করিম খান বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই হেগভিত্তিক আইসিসি-তে অভিযোগ করতে পারে। তবে এ ধরনের মামলার জন্য যথাযথ নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হয় বলে জানান তিনি।
বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে প্রফেসর ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন করিম খান।
করিম খান ড. ইউনূসকে আইসিসিতে রোহিঙ্গা নির্যাতন মামলার তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। ২০১৯ সালে আইসিসি এই ইস্যুতে তদন্ত শুরু করেছিল।
তিনি জানান, এ বছরের শেষ নাগাদ তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে নতুন গতি আনতে অধ্যাপক ইউনূসের তিন দফা প্রস্তাবের প্রশংসাও করেন।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে-সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জাতিসংঘপ্রধানের একটি জরুরি সম্মেলন আয়োজন ও করণীয় প্রস্তাব, রোহিঙ্গাদের মানবিক সংকট নিরসনে যৌথ সহায়তা পরিকল্পনা জোরদার এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘটিত গণহত্যার বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আন্তরিক আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা।
প্রফেসর ইউনূসের এই তিন প্রস্তাব নিয়ে আইসিসির চিফ প্রসিকিউটর করিম খান বলেছেন, ‘এই তিনটি প্রস্তাব যথার্থ।’
সফর শেষ করে আজ নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে ড. ইউনূস গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান।
আরও পড়ুন:
পৃথিবী দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে একনায়কতন্ত্র রুখে দিয়েছে
শেখ হাসিনার বিচার কেন হবে না, প্রশ্ন ড. ইউনূসের