শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ রবিউস সানি, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন জয়


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৬:০২ : অপরাহ্ণ
সজীব ওয়াজেদ জয়
Rajnitisangbad Facebook Page

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত মাসে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।

আজ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেছেন, দেশে ফেরার বিষয়টা শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করবে।

এর আগে, গত মাসে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ দাবি করেছিলেন যে, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হবেন এবং পরবর্তী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে চায়।

বাংলাদেশের গণআন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। এমন প্রেক্ষিতেই তিনি ওই কথা বলেন।

তবে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন কী-না, মঙ্গলবার জানতে চাওয়া হলে জয় বলেন, ‘এটা তার (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত। এ মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকজনকে নিরাপদে রাখতে চাই। ইউনূস সরকার তাদের ওপর যে নিষ্ঠুরতা চালাচ্ছে, সেটাকে আমি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে চাই’।

গত সোমবার রয়টার্সে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বাংলাদেশে ‘দেড় বছরের মধ্যেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ হওয়া উচিত’ বলে তিনি মনে করেন। তবে ‘সামনে যা-ই ঘটুক হোক না কেনো’ তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাবেন।

তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ‘এখন অন্তত একটা প্রত্যাশিত সময়সীমা আছে, এটা জেনে আমি খুশি। কিন্তু আমরা এমন নাটক আগেও দেখেছি যেখানে একটি অসাংবিধানিক, অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তারপরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়।’

 

গতকাল রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, যাতে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে সে জন্য তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবেন।

গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গত আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানায়।

শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশের সার্বিক সংস্কারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে, নির্বাচন কবে হতে পারে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানানো হয়নি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে যে ছয়টি সংস্কার কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে এবং সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করলে এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

ওয়াশিংটন থেকে রয়টার্সকে জয় বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে বৈধ সংস্কার ও নির্বাচন করা অসম্ভব।’

গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন হাসিনা। তার দলের অধিকাংশ সিনিয়র নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, দেশের ভেতরে আত্মগোপনে আছেন কিংবা প্রায় এক হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যার বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

জয় দাবি করেন, হাসিনার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

জয়ের এই মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত কোনো সাড়া পায়নি রয়টার্স।

আরও পড়ুন: ‘সামনে যা-ই ঘটুক’ অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর