শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

জিম্মি জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলো জলদস্যুরা


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২০ মার্চ, ২০২৪ ২:৩৭ : অপরাহ্ণ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় আজ বুধবার দুপুরে প্রথমবারের মতো মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুপুর সোয়া ২টায় তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগেই জলদস্যুরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যেহেতু আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, তাই আশা করছি তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।

জলদস্যুরা মুক্তিপণের বিষয়ে কিছু জানিয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখন বলতে পারবো না।

গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ।

সশস্ত্র জলদস্যুরা মাত্র ১৫ মিনিটে ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জাহাজটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়া উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছে জলদস্যুরা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাহাজটি বারবার স্থান পরিবর্তন করছে। এখন দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে আছে এটি। প্রথমে গ্যারাকাদ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখা হয়েছিল। তখন উপকূল থেকে জাহাজে যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগত। এরপর জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে আসে তারা। সর্বশেষ আবার অবস্থান পরিবর্তন করে জলদস্যুরা। এখন উপকূল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে আছে।’

এর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর কেএসআরএম গ্রুপের আরেকটি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেই জাহাজের নাম ‘এমভি জাহান মণি’। বড় অংকের মুক্তিপণের বিনিময়ে ১০০ দিনের মাথায় ওই জাহাজ থেকে মুক্তি পান ২৫ নাবিক।

আরও অনেক জাহাজের বাংলাদেশি নাবিক ও ক্র সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে অতীতে জিম্মি হয়েছিলেন। তাদের কেউ ২০ মাস পর, কেউ ১০ মাস পর জিম্মি দশা থেকে মুক্তি পান। ২০১২ সালে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে ২০ মাসেরও বেশি জিম্মি থাকার পর ৭ বাংলাদেশি নাবিক মুক্তি পান।

আরও পড়ুন:

জিম্মি জাহাজ নিয়ে কী হচ্ছে, নাবিকদের পরিবারে উদ্বেগ

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের বিরোধিতা মালিকপক্ষের

জিম্মি জাহাজে অভিযানের অনুমতি চেয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন

সোমালি জলদস্যু কারা, কীভাবে তাদের উত্থান

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর