শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা রাজধানী

অবন্তিকার ‘আত্মহত্যা’

উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম


রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশের সময় :১৬ মার্চ, ২০২৪ ৫:৪৪ : অপরাহ্ণ
ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ শীর্ষক ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা এ আল্টিমেটাম দেন।

প্ল্যাকার্ড হাতে সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবার ভাস্কর্য চত্বরে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রেজোয়ান। দাবিগুলো হল- হত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে; আম্মানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোওয়ানা জারি করা এবং দ্বীন ইসলামকেও অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা; জরুরি সিন্ডিকেট সভা ডেকে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিস্কার করতে হবে; ভিকটিমের পরিবারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অভিযুক্তদের বহিস্কার করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।

এ সময় তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করার ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে গত তিন দিন আগ অবন্তিকা ঢাকা থেকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাও এলাকার অরণি নামের বাসায় আসেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় বাসার একটি কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এর আগে তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার মৃত্যুর জন্য সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর অনৈতিক প্রস্তাব এবং সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের নানা কটুক্তির বিষয় তুলে ধরেন।

অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনমের ভাষ্য, ‘কোথায়ও বিচার পায়নি আমার মেয়ে। কারণে-অকারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২০২২ সাল থেকে আমার মেয়ের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছিল। তিনি বলেন, ‘জবি প্রশাসনের ডাকে আমি অসুস্থ্য স্বামী নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম। বিচার তো পাইনি, উল্টো তারা (জবি প্রশাসন) আমাদের আরও মানসিকভাবে হয়রানি করেছে। কখনো থানায় জিডি ও মামলার হুমকি দেওয়া হতো মেয়েকে। বিচার না পেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আমার মেয়েকে জীবন দিতে হলো।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর