দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ভোটের পরদিনই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলটি আগামী মঙ্গল ও বুধবার সারাদেশে গণসংযোগ করবে।
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মঈন খান বলেন, ‘এ গণসচেতনতা হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে। দুদিন পরে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘রাষ্ট্রশক্তির অপব্যবহার, ডামি নির্বাচন কমিশন, ডামি ভোটার, ডামি পর্যবেক্ষক দিয়ে সরকার সাফাই গাইলেও দেশের জনগণ একচেটিয়াভাবে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ ভোট বর্জন করে এই বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমান সরকার, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-সবই ভুয়া।’
৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে জানিয়ে মঈন খান বলেন, ‘কৃত্রিম প্রতিযোগিতা তৈরি করেও ভোটার আনতে পারেনি ক্ষমতাসীন সরকার। হাতেগোনা ভোট পরেছে। খাগড়াছড়িতে ১৯টি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। এই পদক্ষেপের জন্য জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছে ৬৩টি রাজনৈতিক দল।’
আরও পড়ুন: ভোটের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ভোট গ্রহণের হার নিয়ে বক্তব্য হাস্যকর। যত সংখ্যাই পড়ুক না কেনো, কত সংখ্যক ভোট পড়েছে তা পূর্বেই নির্ধারন করে রেখেছিল কমিশন।’
মঈন খান বলেন, ‘গতকাল ওয়াশিংটন পোস্ট এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে লেখা হয়েছে, সরকারেরই আনা একজন পর্যবেক্ষক বলেছেন, বাংলাদেশের যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া, তার মাধ্যমে বাংলাদেশ উত্তর কোরিয়ান সিস্টেমের দিকে এগোচ্ছে। ডামি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে একজন সত্য কথা না বলে পারেননি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এ কথা হয়তো বলা যায়, বাংলাদেশের মানুষ হিউমারপ্রিয়, চিন্তা-ভাবনা করছে নতুনভাবে যে সরকার গঠন করবে এই ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা কি এভাবে বলতে পারি-এ গভর্নমেন্ট অব দ্য ডামি, বাই দ্য ডামি, ফর দ্য ডামি?’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভোট নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পেলো যেসব বিষয়
