বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ এবং বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নির্বাচন করতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছেন আদালত।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতার বিষয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
জানা যায়, বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ দলের মনোনয়ন না পেয়ে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে পরে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম।
শুনানি শেষে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন। পরে হাইকোর্টে গিয়ে নিজের পক্ষে রায় পেলেও আজ আপিল বিভাগে ফের আটকে গেল সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা।
এদিকে ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বে অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। আর একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল থাকে।
পরে শাম্মী আহমেদ এবং একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও শাম্মী আহমেদ তা গোপন করেছিলেন। পরে সেই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আজ আপিল বিভাগে তার প্রার্থিতা বালিতের আদেশ দেয়।