ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন। তাকে চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক ১১/৯/২০২৩ তারিখ থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
এর আগে আজ দুপুরে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ছাত্রলীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হারুনকে বদলি করে দেওয়ায় সন্তুষ্ট নয় ছাত্রলীগ। এজন্য নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের কথা ডিএমপি কমিশনারকে জানান সাদ্দাম ও ইনান।
গত শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করেন এডিসি হারুন ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
নির্যাতনের শিকার দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন-ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার জেরে রোববার তাকে প্রথমে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। পরে তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়।
ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেধড়কভাবে পিটিয়েছে। হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান। এর মধ্যে নাঈমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার মুখমণ্ডল মারত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের ৩১তম ব্যাচের ক্যাডার এডিসি হারুন ৩৩তম ব্যাচের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন বিসিএস কর্মকর্তা।
একপর্যায়ে সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: রমনা থেকে এডিসি হারুনকে বদলি