সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভয়ে মুখ শুকিয়ে গেছে। টেলিভিশনে দেখবেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের এখন মুখে হাসি নেই, চকচকা কাপড় এখন কম পরে।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর দয়াগঞ্জে বিএনপির গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে এই গণমিছিল বের করা হয়।
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জ ট্রাকস্ট্যান্ডের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিলটি শুরু হয়। এটি কমলাপুর স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে খিলগাঁও চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর বললে হবে না। কোনো দিকেই আপনাদের পালাবার পথ নেই। ভালোয় ভালোয় সরে যান। জনগণ জানে কীভাবে সরাতে হয়।’
আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ তাদের উদ্দেশ্য: প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ‘টম ল্যান্টস হিউম্যান রাইটস কমিশন’ আয়োজিত ভার্চুয়াল শুনানির প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে। হত্যা করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর বিক্ষোভ প্রায়ই দমনপীড়নের শিকার হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধ করা হচ্ছে। এজন্য তারা আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চায় মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা
নতুন পেনশন স্কিম প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কিছু নাই, দেশটাকে ফোকলা বানিয়েছে (সরকার)। এখন আবার আরেকটা নতুন কায়দা বের করেছে—পেনশন স্কিম। মানুষের টাকা চুরির আরেকটা নতুন ফন্দি। ওই টাকা চুরি করে নির্বাচন করতে চায়। মানুষ এবার তা হতে দেবে না।’
পুলিশের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পুলিশের বড় ৯ অফিসার আমেরিকায় যেতে পারেন না। সেখানে সম্পদ কীভাবে রক্ষা করবেন, সেই চিন্তায় রাতে তাদের ঘুম হয় না। আমরা বলতে চাই পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা দুর্নীতি করেন না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘একটি কথাই বলা যায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। তার অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আমাদেরই উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ভারত যদি আবার ১৪ সালের মতো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়, তবে চ্যালেঞ্জ এদেশের ১৮ কোটি জনগণ এবার ছাড়বে না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সকালে মার্কিনদের গালি দেয় বিকালে আবার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। যারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পক্ষে তারাই আমাদের বন্ধু।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, গাজীপুর জেলা সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ।
