শনিবার, ১১ মে, ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

ভারত মহাসাগর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ তাদের উদ্দেশ্য: প্রধানমন্ত্রী


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৬ আগস্ট, ২০২৩ ৮:১১ : অপরাহ্ণ
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে তারা গণতন্ত্রের নাম নিয়ে, নির্বাচনের নাম নিয়ে এই দেশে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়, যাতে করে ভারত মহাসাগরকে ব্যবহার করতে পারে। এটাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করা এবং দেশগুলোকে ধ্বংস করা। এটাই হচ্ছে কারও কারও উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে কিন্তু এদের নানা ধরনের তালবাহানা।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের বঙ্গোপসাগরটাও এরই অংশ। ভারত মহাসাগরে যতগুলো দেশ আছে এখানে কারো সাথে কারো দ্বন্দ্ব নাই। স্বাধীনভাবে পণ্য চলাচল করে এখানে।’

আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে একটা কথা আমি সবাইকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলে রাখি এদের উদ্দেশ্য এখানে নির্বাচন না, এদের উদ্দেশ্য গণতন্ত্র না, এরা একটা জিনিসই করতে চায়। আমাদের কিছু লোক আছে তারা এদের সঙ্গে সুর মেলায়। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। একই সঙ্গে ভারত মহাসাগরের অন্যান্য দেশকেও সচেতন থাকতে হবে। আমি মনে করি, তারা সচেতন। এ এলাকা নিয়ে নানা ধরণের চক্রান্ত চলছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদের বলতে চাই, আপনাদের গণতন্ত্র কি আটলান্টিকে আটকে যায়? আটলান্টিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ? যে বিএনপি আমার বাবাসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে আজ তাদের নিয়ে ক্ষমতায় বসাতে হবে? এদের উদ্দেশ্য নির্বাচন না, গণতন্ত্র না। এরা একটা জিনিসই করতে চায়, তা হচ্ছে আমরা যে গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করেছি, আর্থসামাজিক উন্নতি করেছি, দারিদ্রতার হার কমিয়ে নিয়ে এনেছি, মাথাপিছু আয় বাড়িয়েছি সেই উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। এটাই বাস্তবতা।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ এলাকাটাকে নিয়ে নানাভাবে খেলার চক্রান্ত চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০ বছর ধরে সংঘাত ছিল। আমি সরকারে (১৯৯৬) আসার পরে শান্তি ফিরিয়ে আনি। সেখানেও আবার নানা রকম অশান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা। যেহেতু এটা আমি জানি, বুঝি। কীভাবে আমাকে ক্ষমতা থেকে সরাবে এবং তাদের কিছু কেনা গোলাম আছে, পদলেহনকারী আছে। তাদেরকে বসিয়ে এই জায়গাটাকে নিয়ে খেলবে। সেটাই হচ্ছে প্রচেষ্টা। সেটা আমি ভালোভাবে বুঝতে পারি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের এতটুকু ক্ষতি করে কোনোদিন ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা আমি করি না। তাহলে ২০০১ সালে যখন আমার কাছে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব এসেছিল… খালি মুখেই বলতাম আমি গ্যাস বিক্রি করবো, তাহলে ক্ষতায় আসার কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু দেশের স্বার্থ বেঁচে, দেশের মানুষের সম্পদ অন্য কোন দেশের হাতে তুলে দিয়ে আমাকে ক্ষমতায় যেতে হবে, এরকম ক্ষমতা লোভী আমি না, আমার বাবাও ছিলেন না, আমিও না। দেশের সম্পদে মানুষের অধিকার। এই সম্পদ মানুষের অধিকার সেটাই করে যাচ্ছি। আজকে যখন দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি তখনই সকলের মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেলো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ হঠাৎ এবারের নির্বাচনের সময় দেশটি যেন খুব বেশি উতালা হয়ে পড়লো। আর নির্বাচনের দাড়ি, কমা, সেমিকোলন, কোথায়, কী, কিভাবে হবে তাই নিয়ে সব থেকে বেশি.. এবং একের পর এক তাদের লোকজন আসা শুরু করলো। কেন? কারণটা কী? বিএনপি এখন তাদের চোখের মনি, যারা এতো মানুষ হত্যা করেছে। জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত।’

আরও পড়ুন: আমরা কাপুরুষ, অস্বীকারের উপায় নেই: ওবায়দুল কাদের

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর