কক্সবাজারের চকরিয়ার লামায় সংঘর্ষের সময় প্রকাশ্যে হেলমেট পরে অস্ত্র হাতে যাকে দেখা গেছে তার নাম-পরিচয় সামনে এসেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ওই ব্যক্তির নাম বেলাল উদ্দিন। তিনি চকরিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
তবে বেলাল উদ্দিন একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, হেলমেট পরিহিত অস্ত্রধারী ব্যক্তি তিনি নন।
গুলি করার সময় তার পেছনে কালো পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তির নাম লায়ন আলমগীর। তিনি চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম দাবি করেন, হেলমেট পরা ওই ব্যক্তি দেখতে বেলাল উদ্দিনের মতো মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি বেলাল না। অন্য কেউ হতে পারেন।
তবে শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াতই পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে ওই হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বলছে, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
চকরিয়া থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। অস্ত্র হাতে থাকা ব্যক্তি কারা তাও তদন্ত করে বের করা হবে।’
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরিহিত কয়েকজনকে প্রকাশ্যে ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে দেখা গেছে।
সংঘর্ষে নিহত চকরিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের আবুল ফজলের ছেলে মোহাম্মদ ফোরকানকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে জামায়াত।
জামায়াতের কক্সবাজার শহরের আমির আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, ‘চকরিয়ায় গায়েবানা জানাজা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পন্ন হয়। যেখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চকরিয়া পৌরসভায় বায়তুশ শরীফ রোডের মাথায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন প্রকাশ্যে গুলি করে। এতে জামায়াত কর্মী ফোরকান নিহত হন। আহত হন অনেকেই।’