সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

সেন্টমার্টিন দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারলে প্রধানমন্ত্রী আগেই দিতেন: গয়েশ্বর


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৩ জুন, ২০২৩ ৩:৪১ : অপরাহ্ণ
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

সেন্টমার্টিন দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই দিয়ে দিতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আজ শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আগামীর বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন ‘বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থার গুরুত্ব’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

গত বুধবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল, কীভাবে? তখন তো গ্যাস বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। তাহলে এখন তারা দেশ বিক্রি করবে, নাকি সেন্টমার্টিন বিক্রি করার মুচলেকা দিয়ে আসতে চায়?’

এ সময় সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কারও কাছে এ দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। এখন যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কারও কাছে লিজ দেবো, তাহলে ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধা নেই। আমার দ্বারা এটা হবে না। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেবো না।’

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করে আ.লীগ ক্ষমতায় থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রসঙ্গে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘আমেরিকা তো সেন্টমার্টিন নিয়ে কথা বলেনি। আমেরিকা কথা বলেছে এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে। সেন্টমার্টিন নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নাকি সেন্টমার্টিন আমেরিকাকে দিয়ে দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। সেন্টমার্টিন দিয়ে যদি ক্ষমতায় থাকতে পারতেন, তবে তা আগেই দিয়ে দিতেন।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের শত্রু। যেখানে হাসিনা থাকে, সেখানে গণতন্ত্র থাকে না। এ দেশের গণতন্ত্র রুক্ষ।’

সরকারপ্রধানের বক্তব্যের সমালোচনা করে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোন চেয়ারে বসে আছেন তা তার হয়তো মনে নেই। এ দায়িত্বে থেকে কীভাবে কথা বলতে হয়, তা-ও তিনি হয়তো জানেন না। একজন কূটনীতিকের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়। কূটনীতিকরা সাধারণত সামনে কাউকে হ্যাঁ বলেন না; আবার না-ও বলেন না।’

এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কথা বলেছেন, যদি পশ্চিমারা গার্মেন্টস শিল্প বা পোশাক রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এখনও দেয়নি। তখন কী হবে? এ দেশের অর্থনীতির কী হবে? গার্মেন্টস শিল্পের যে মেশিনগুলো আছে, সেগুলোর কী হবে। সেগুলো তো লোহা হিসেবে বেচতে হবে।’

গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘জানি না, প্রধানমন্ত্রী কেন এভাবে কথা বলছেন, জানি না। তিনি নিজেরটা বোঝেন। জনগণের কথা ভাবেন না। তিনি তার পরিবারের প্রতিশোধ নিচ্ছেন জনগণের ওপর। কিন্তু আপনি তো অনেক মায়ের বুক খালি করেছেন।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর