বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ | ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ১৭ রমজান, ১৪৪৫

মূলপাতা আবহাওয়া

ঘূর্ণিঝড় মোখার মূল আঘাত হবে মিয়ানমারে, ঝুঁকি কমেছে বাংলাদেশে


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ মে, ২০২৩ ১২:২৪ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তে ও তার আশপাশের অঞ্চল দিয়ে। এর ফলে বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি অনেকটা কমে এসেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীতে আবহাওয়া ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আজিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিত্তে অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করবে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৩০ কিলোমিটার। তখন দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। বিকেল ৩টার পর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে।

আরও পড়ুন: টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের আঘাত

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পরিচালক জানান, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের জন্য সবচেয়ে ভয়ংকর সময় হলো দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময়ের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা স্থলভাগ অতিক্রম করবে মোখা। এর প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল ১২ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে বেড়েছে বাতাসের গতি, সাগর উত্তাল

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ সকাল ১১টার বুলেটিনে বলা হয়েছে, মোখার মূল কেন্দ্রভাগ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে অতিক্রম শুরু করবে। আজ সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বিকেল নাগাদ মিয়ানমারের সিত্তের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম শেষ করে পুরাপুরি স্থলভাগে উঠে আসতে পারে।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কক্সবাজার বন্দরকে আগের মতো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর মোংলা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

আরও পড়ুন: ভয়ংকর সেই সিডরের মতোই শক্তিশালী ‘মোখা’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর