শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

সেন্টমার্টিনে বেড়েছে বাতাসের গতি, সাগর উত্তাল


রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, প্রকাশের সময় :১৪ মে, ২০২৩ ১১:৩৬ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিনে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস শুরু হয়েছে। দ্বীপ এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ৭-১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন দ্বীপবাসী।

গতকাল শনিবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে সেন্টমার্টিন। বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, দুটি আশ্রয়ন শেল্টারসহ হোটেল-মোটেল মিলে ৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে দ্বীপের সাত হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা জয়নাল উদ্দিন জানান, সকাল ১০টার পর হতে প্রচুর বাতাস বইছে। বৃষ্টি ও বাতাসের জন্য বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। সাগর উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে।

সেন্টমার্টিনের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা জুবায়ের বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে গতরাত খুবই ভয়ে কেটেছে। এখন প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস হওয়ায় ভয় লাগছে। আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, সকল থেকে দ্বীপে বাতাস ও বঙ্গোপসাগরে পানি বেড়েছে। আমরা লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করছি। অনেক লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে।

আরও পড়ুন: টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের আঘাত

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান বলেন, চাইলেও এ মুহূর্তে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে বাসিন্দাদের আনা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া উপজেলায় হোটেল-মোটেলসহ ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় দ্বীপের জন্য আমাদের নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

আবহাওয়ার অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রবর্তী অংশ সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এর প্রভাবে সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভয়ংকর সেই সিডরের মতোই শক্তিশালী ‘মোখা’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর