চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে একসঙ্গে ছয় সন্তান জন্ম দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এক নারী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার একটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ছয় সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। কিন্তু দেড় ঘণ্টা পর ছয় নবজাতকই মারা যায়।
একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দেওয়া ওই নারীর নাম তাছলিমা আকতার। তিনি নাজিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুবাইপ্রবাসী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। জাহাঙ্গীর বর্তমানে দুবাইয়ে কর্মরত।
ছয় নবজাতকের মধ্যে চার ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান। নবজাতকদের ওজন ছিল ৩৫০ থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে প্রসববেদনা নিয়ে নাজিরহাট পৌর সদরের ‘সেবা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোমে’ ভর্তি হন সাড়ে পাঁচ মাসের সন্তানসম্ভবা নারী তাছলিমা। প্রসববেদনা বাড়া ও জরায়ুমুখ খুলে যাওয়ায় হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করেন। এতে ধীরে ধীরে ছয়টি নবজাতকের জন্ম হয়।
হাসপাতালের দায়িত্বরত গাইনী চিকিৎসক ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, ‘অপরিণত হওয়ায় দেড় ঘণ্টা জীবিত থাকার পর মারা যায় ছয় নবজাতক। আসলে পাঁচ মাস বয়সের বাচ্চা বাঁচানো কঠিন। সাত মাস বয়স হলে বাঁচানো যেতো। তবে প্রসূতি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। রোগীর অবস্থা খুব খারাপ ছিল। এজন্য চট্টগ্রাম শহরে কিংবা দূরের হাসপাতালে পাঠানো অসম্ভব ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল মাকে বাঁচানো। একসঙ্গে ছয় শিশুর জন্মের বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। এর আগে আমাদের দেশে কারও একসঙ্গে ছয় সন্তান হয়েছিল কিনা তা জানা নেই।’
তাছলিমা আকতার বলেন, ‘আমি কল্পনাও করিনি এরকম কিছু ঘটবে। আল্লাহর দেওয়া উপহার সানন্দে গ্রহণ করেছিলাম। এরপর যা হয়েছে, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আল্লাহ দিয়েছেন, আবার তিনি নিয়েও গেছেন।’
আরও পড়ুন: যেভাবে সংরক্ষণ করলে পেঁয়াজ দীর্ঘদিন ভালো থাকবে
