শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হলো বাংলাদেশ



রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৫১ : অপরাহ্ণ

সর্বোচ্চ ১৬০ ভোট পেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হলো বাংলাদেশ। আগামী ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ পরিষদের সদস্য পদ নির্বাচনের মাধ্যমে অর্জন করেছে ঢাকা।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের কার্যালয়ে ১৪টি শূন্য আসন পূরণের জন্য গোপন ব্যালটে মানবাধিকার পর্ষদের ভোট হয়।

নিউইয়র্ক সময় সকাল ১০টায় ভোটাভুটির অধিবেশন শুরু হয়। গোপন ব্যালটে এক ঘণ্টার মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এ ছাড়া গণনায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে।

ভোটাভুটিতে বাংলাদেশসহ মোট ১৪টি দেশ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। দেশগুলো হলো-আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, চিলি, কোস্টারিকা, জর্জিয়া, জার্মানি, কিরগিস্তান, মালদ্বীপ, মরক্কো, রোমানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান ও ভিয়েতনাম।

বাংলাদেশ ১৮৯টি ভোটের মধ্যে ১৬০টি ভোট পেয়েছে, যা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ।

এ অঞ্চলে বাংলাদেশসহ মোট ৭টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো হলো-দক্ষিণ কোরিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান ও বাহরাইন।

এ অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ ছাড়া অন্য তিনটি নির্বাচিত সদস্য হলো-মালদ্বীপ (প্রাপ্ত ভোট ১৫৪), ভিয়েতনাম (প্রাপ্ত ভোট ১৪৫) এবং কিরগিস্তান পেয়েছে ১২৬টি ভোট।

এর আগে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের পর্ষদের সদস্য পদে নির্বাচন করেছিল বাংলাদেশ। সে সময়ে ১৭৭টি ভোট পেয়ে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের মোট সদস্য পদ ৪৭টি। বছরের শেষের দিকে সংগঠনের এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়।

সর্বোচ্চ ১৮ আসনে নির্বাচনের মাধ্যমে পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপ থেকে এ পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দেশ পরপর দুবার টানা ছয় বছর সদস্য হয়ে কাজ করতে পারে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হামলা ও গ্রেপ্তার অশুভ ইঙ্গিত: এইচআরডব্লিউ

বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ৬ বছর সদস্য হিসেবে কাজ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২২ সাল ছাড় দিয়ে ২০২৩-২৫ এই তিন বছরের মেয়াদে সদস্য পদ পেয়েছে ঢাকা।

হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল হলো জাতিসংঘের একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা যা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা জোরদার করার জন্য এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে সুপারিশ করে থাকে।

বিষয়ভিত্তিক মানবাধিকার বিষয় এবং পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার ক্ষমতা এ সংস্থার রয়েছে। এটি জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয় থেকে কাজ করে থাকে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর