রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

মিতু হত্যা মামলায় নতুন মোড়, বাবুলের পক্ষে লড়ছেন শিশির মনির


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ অক্টোবর, ২০২২ ৬:৪৩ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম আদালতে মিতু হত্যা মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির। ছবি: সংগৃহীত
Rajnitisangbad Facebook Page

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের পক্ষে লড়তে যাচ্ছেন সুপ্রীম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির।

সম্প্রতি ইউটিউবে প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনের প্রকাশ করা একটি প্রতিবেদনে বাবুল আক্তার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করা হয়। এর পরই এই মামলা নতুন মোড় নেয়।

মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই এর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও তুলেন বাবুল আক্তার। যদিও তার এই অভিযোগ খারিজ করে দেন আদালত।

এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে এই মামলায় বাবুল আক্তারের পক্ষে লড়তে চট্টগ্রাম গিয়েছেন এই আইনজীবী। বাবুল আক্তারের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করতে অনুমতিও নিয়েছেন আদালত থেকে।

আজ সোমবার নিজের ফেসবুকে একাধিক স্ট্যাটাসে এসব তথ্য জানান শিশির মনির।

সকালে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে আলোচিত এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন শিশির মনির। আদালত থেকে বেরিয়ে কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গেও।

শিশির মোহাম্মদ মনির দুপুরে আদালত চত্বরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার একটি ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘সাবেক পুলিশ সুপার জনাব বাবুল আক্তারের মামলার শুনানি হল। সাক্ষীর নারাজি দরখাস্তের সময় নামন্জুর করা হল। চার্জশিট গৃহীত হল। দ্বিতীয় মামলায় সংগৃহীত সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রথম মামলায় ব্যবহার করা বেআইনি- আমাদের এই দরখাস্তের বিষয়ে পড়াশুনা করে সিদ্ধান্ত দিবেন। বাবুল আক্তারকে কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন-১ মর্যাদা দেয়ার আবেদন মন্জুর করেন। বাবুল আক্তারের সাথে একান্তে ১ ঘণ্টা আলোচনা করার আদেশ দেন।’

এর আগে রাত ১টায় দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ইনশাল্লাহ মাননীয় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সাবেক পুলিশ সুপার জনাব বাবুল আক্তারের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ করব। বিষয়গুলো পেশাগতভাবে আরও বিস্তারিত জানার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।’

এদিন চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন আদালত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে আসামি করে মিতু হত্যা মামলায় পিবিআই এর দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আসামিপক্ষে নারাজি এবং পুনঃতদন্তের আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে তা খারিজ করে দিয়ে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হয়।

অভিযোগপত্রে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই উল্লেখ করেছে, পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তার সোর্সদের দিয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন-সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুছা ও খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ে মিতুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিতে ওই সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল আক্তার। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে যুক্ত থাকায় তার স্ত্রী খুন হয়ে থাকতে পারে।

অবশ্য তিন সপ্তাহের কম সময়ে মামলার মোড় ঘুরে যায়। মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে খোদ বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পায় পিবিআই। এরপর বাবুলসহ ৯ জনকে আসামি করে নতুন হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর