রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা শিশুসহ পাঁচজন মৃত্যুর ঘটনায় সবাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটে গত পাঁচ বছরে ফ্লাইওভারের নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিআরটি কী ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তার একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাকারিয়া খানের পক্ষে আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম এ রিট দায়ের করেন।
মঙ্গলবার হাইকোর্টে পৃথক আরেকটি রিট দায়ের করা হয়। সেই রিটে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও জনগণের চলাফেরায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাগুফতা আহমেদ এ রিট দায়ের করেন।
এর আগে এ ঘটনায় সোমবার দিনগত রাতে নিহত ফাহিমা আক্তার ও ঝরণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা (নং-৪২) দায়ের করেন।
মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন জানান, উত্তরার দুর্ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে, জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোমবার বিকেলে উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।
গাড়িটিতে মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন।
বেঁচে যান গাড়িতে থাকা নবদম্পতি রিয়া আক্তার ও রেজাউল করিম হৃদয়।
মৃতরা হলেন-আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), রিয়ার খালা ঝর্না আক্তার (২৭), ঝর্না আক্তারের দুই শিশুসন্তান জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)।