ভোলায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিমের মৃত্যুর ঘটনায় এই হরতাল ডাকে দলটি।
হরতাল শুরুর পর থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গতকাল বুধবার হরতালের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই দিন বিকেল সাড়ে চারটার সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। এ সময় সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে আবার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে সড়ক অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ভোলার ঘটনা তদন্তে ও হতাহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার (৩ আগস্ট) রাতেই বিএনপির ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকা থেকে ভোলায় রওনা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ তদন্ত কমিটির প্রধান।
রোববার বিকেলে নুরে আলমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। হাসপাতালের কার্যক্রম শেষ করে তারা অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ সেগুনবাগিচার কোয়ান্টাম মেথডে নিয়ে আসেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কলাবাগান থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে লাশ পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। ময়নাতদন্তের পর রোববার সকাল ১০টায় লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে। এরপর সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরে আলমের জানাজা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নুরে আলমের মৃত্যুর খবর ভোলায় পৌঁছার পরপরই শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সতর্ক রয়েছেন। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গত রোববার লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে অনিয়ম ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচিতে ভোলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় সেদিনই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম নিহত হন। এ নিয়ে ভোলার ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো।
