ভোলা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনকে প্রধান আসামি করে ৩৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
বিএনপি নেতা-কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হত্যা মামলাটি দাখিল করেন।
বিচারক এজাহারটি গ্রহণ করে নিহতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর অধিকতর শুনানি শেষে মামলার বাকি আদেশ দিবেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আমিরুল ইসলাম বাছেত জানান, গত ৩১ জুলাই বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আবদুর রহিম নিহত হন। দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পর পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয় দাবি করে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দাখিল করেন। ওই মামলায় ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই পুলিশ সদস্য।
তিনি জানান, তারা সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে পুলিশ ছাড়া অন্য কোনো সংস্থার মাধ্যমে মামলাটি তদন্ত করার দাবি জানান। বিচারক তাদের আরজি শুনে আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও লাশের সুরতহাল রিপোর্টসহ প্রয়োজনীয় নথিপত্র আদালতে দাখিলের আদেশ দেন।
যদিও এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ওই দিন রাতে ভোলা সদর থানায় দুটি মামলা করেছে। দুটি মামলায় ৭৫ ও অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে। ভোলা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
একটি মামলায় পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে জখম ও অপর মামলায় পথচারী হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা সদরের মহাজনপট্টিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম।
