নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২:৩১ : অপরাহ্ণ
র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের করে দিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা খুন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কারণে জাতিসংঘের কাছে একটা নোটিশ করেছে, সেটির আপডেট কী আমরা তা জানতে চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের যে সাত সদস্যের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটির সর্বশেষ কী অবস্থা আমরা তা জানতে চাই।’
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লবিস্ট নিয়োগের যে তথ্য উত্থাপন করেছেন, এর পর দেখলাম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন পরশু দিন বললেন যে, র্যাব সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তার মানে বাংলাদেশের র্যাবের সদস্যরা কি যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের সদস্য? এ বিষয়ে আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে সুস্পষ্ট বিবৃতি চাই।’
আরও পড়ুন: র্যাবকে তৈরি করেছে আমেরিকান ও ব্রিটিশরা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এটিকে কেন্দ্র করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যিকারার্থে আমি বলবো, কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের করে দিয়েছেন।’
বিএনপির বিরুদ্ধে দেওয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে দলের হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো, আপনি আগামী অধিবেশনেই এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট বিবৃতি দেবেন। নতুবা ধরে নেবো সরকার ও সরকারের মন্ত্রীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনগণের মধ্যে এসব বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। সরকার কোনো লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে কিনা, দিলে কবে থেকে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ বিদেশে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেছে কিনা এবং বিএনপি কোনো লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে কিনা, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বক্তব্য উত্থাপন করবেন, এ দাবি আমরা করছি।’
আরও পড়ুন: র্যাবকে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দিতে জাতিসংঘে ১২ সংস্থার চিঠি
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের যে নির্বাচন দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ কারণে সরকার লবিস্ট নিয়োগ করে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে কিনা সেটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করবেন।’
দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের (বর্তমান নির্বাচন কমিশন) মেয়াদ শেষ হবে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোর ব্যাপারে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি।’