সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আইন-আদালত

বুয়েটছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় দুপুরে


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় :৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ৯:৩২ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করার মামলার রায় আজ বুধবার দুপুরে ঘোষণা করা হবে।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালত এ রায় দেবেন।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুপুর ১২টায় বিচারক রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের একটি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।

বারবার প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানালেও থামেনি পাষণ্ডরা। ৬ ঘণ্টা নির্যাতনের পর মারা গেলে হলের দোতলা ও নিচতলার মাঝামাঝি সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয় আবরারের লাশ।

সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে এ দৃশ্য। শনাক্ত করা হয় আসামিদের।

ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

গ্রেপ্তার ২২ জন হলেন-মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আদালতে জানান, মাথা, বুকসহ পুরো শরীরে হাতুড়ি, ক্রিকেট স্ট্যাম্প ও স্কিপিং রোপের নির্মম আঘাতের কারণেই মারা যান আবরার।

গত ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে পলাতক তিন আসামিসহ ২৫ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।

আরও পড়ুন:

ছাত্রদল নেতা থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রী, ‘দুঃসময়ে পল্টি দেন ডা. মুরাদ’

ধানমন্ডিতে বাসা রেখে হোটেল সোনারগাঁওয়ে কী করতেন মুরাদ

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর