রাজধানীর রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাস চাপায় শিক্ষার্থী মাঈনউদ্দিন দুর্জয় নিহত হওয়ার ১০-১২ মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ কোথা থেকে এসে বাস ভাঙচুর করলো, বাসে আগুন দিলো-এ প্রশ্ন তুলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে তিনি এ প্রশ্ন তুলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সেদিন মাঝরাতে কারা ফেসবুকে ভিডিও দিলো, কারা লাইভ করলো, এসব প্রশ্ন আসছে।’
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নয় দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের উসকানিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক এবং অর্ধেক বাস ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সব দাবি মেনে নেওয়ার পরও কাদের অনুপ্রবেশে মধ্যরাতে আন্দোলন হচ্ছে এবং যেকোনো ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে বাঁশের কেল্লা লাইভ করছে? স্কুলের পোশাক পরে একটি দলের মহানগরের নেত্রী এসব উসকানি দিচ্ছেন এমন ভিডিও ফুটেজ আছে।’
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দু-তিনটি দুর্ঘটনার তথ্য তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়কে দুর্ঘটনা কাম্য নয়, দুঃখজনক। রামপুরায় দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন প্রশ্ন থাকার পরও আমরা দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের আন্দোলন যে কারণে হচ্ছে, সেই কারণগুলো অযৌক্তিক না, আমি স্বীকার করি। ছাত্র-ছাত্রীরা যখন আন্দোলন থামিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করছে ঠিক তখনই রাজনৈতিক উসকানি দিয়ে তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনকে লাল কার্ড দেখালেন শিক্ষার্থীরা, রোববার প্রতীকী লাশ মিছিল
