আফগানিস্তানে আবারও একটি শিয়া মসজিদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩৭ জন নিহত ও ৭০ জন আহত হয়েছে। প্রদেশটির জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
আজ শুক্রবার বিকেলে দেশটির কান্দাহার শহরে শিয়া মুসলমানদের বৃহত্তম বিবি ফাতিমা মসজিদে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণে মসজিদের জানালার কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে, মেঝেতে মানুষজন পড়ে আছে এবং অন্যান্য মুসল্লিরা তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছে।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। তবে এটিকে আত্মঘাতী হামলা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
তালেবানের স্থানীয় একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এটি একটি আত্মঘাতী হামলা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা তিনজন আক্রমণকারীকে দেখেছেন, তাদের একজন মসজিদের প্রধান গেটের কাছে এবং বাকি দু’জন মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, তিনি তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। একটি মসজিদের মূল প্রবেশপথে, অপরটি মসজিদের দক্ষিণে এবং তৃতীয় একটি বিস্ফোরণ ওজুখানা থেকে শোনেন বলে জানান তিনি।
বিস্ফোরণের সময় মসজিদটি মানুষে পূর্ণ ছিল।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারি সাইদ খোসতি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমরা ব্যথিত যে কান্দাহার শহরের ফার্স্ট ডিস্ট্রিক্টে আমাদের শিয়া ভাইদের মসজিদে এক বিস্ফোরণ হয়েছে যাতে আমাদের বিশাল সংখ্যক নাগরিক শহীদ ও আহত হয়েছেন।’
তিনি জানান, তালেবানের বিশেষ বাহিনী ইতোমধ্যেই ওই স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা ঘটনার প্রকৃতি তদন্ত করছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের জন্য সন্ধান করছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালে ক্রমেই বিস্ফোরণে আহত রোগীর চাপ বাড়ছে। হামলায় হতাহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজে এক শিয়া মসজিদে জুমার নামাজের সময় বোমা বিস্ফোরণে ৭২ জন নিহত ও ১৪০ জন আহত হয়।
উগ্রবাদী সংগঠন আইএস হামলার জন্য দায় স্বীকার করে।
গত আগস্টে তালেবানের আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আইএস আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আসছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ উগ্রবাদী গোষ্ঠীটিকে দমনের জন্য ইতোমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে।
