বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, ছাত্রলীগকে আটঘাট বেঁধে মাঠে থাকতে নির্দেশ কাদেরের

অনেক অপশক্তি সরকারকে হটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ছাত্রলীগকে বার্তা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে। শিক্ষাঙ্গনগুলোতে নানান কৌশল, অপকৌশলে অস্থিরতা তৈরি হবে। অনেক অপশক্তি এবার মাঠে নামবে, চ্যালেঞ্জ করবে। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনাদের আটঘাট বেঁধে মাঠে থাকতে হবে।’

আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ এ সভার আয়োজন করে।

উল্লেখ্য, আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।

সভায় সড়ক পরিবহর ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এখনো চলমান। বাংলার আকাশে এখনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ। তরুণদের সতর্ক হতে হবে। সামনের দিন আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে ক্ষমতার মঞ্চ পরিবর্তনের পর এখানে যারা উল্লসিত তাদের মতলব কী, উদ্দেশ্য কী, তা বুঝতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্দোলনের নামে কোটাবিরোধী,নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ অনেকের অরাজকতা দেখেছি। ষড়যন্ত্রকে, ষড়যন্ত্রের স্রোতকে আরও তীব্র করা প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে অস্থিতিশীলতার প্রস্তুতিও তারা নিচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করায় বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথায় এখন গা জ্বালা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক সত্যের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। মির্জা ফখরুলকে বার বার জিজ্ঞেস করেছি, জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হওয়ার পর থেকে ঢাকায় দাফন হওয়া পর্যন্ত একটা ছবি দেখাতে পারবেন? আমি লাশের ছবি দেখাতে পারবেন?’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কাউন্টার করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল আপনি আবোল তাবোল বকলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলেন কিন্তু আপনি লাশের ছবি দেখাতে পাবেন কিনা। সত্যের মুখোমুখি হোন। সত্যের বন্যা অপ্রতিরোধ্য। সত্য বেড়িয়ে আসবেই। প্রধানমন্ত্রী সত্যই তুলে ধরেছেন সেটা তার পছন্দ হয়নি।’

বিএনপিকে খোঁচা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখতে দেখতে বারো বছর চলে গেলো, এক যুগ। এবছর না ওই বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর? এই সব আন্দোলনের হাকডাক আষাড়ের তর্জন-গর্জনেই।’