মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১২ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

‘কী হবে বলতে পারছি না’, আফগানিস্তান নিয়ে সংশয়ে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২১ আগস্ট, ২০২১ ১২:৪৫ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সংশয়ে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এই সংশয় প্রকাশ করেন।

হোয়াইট হাউসে দাঁড়িয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘তালেবানদের কব্জায় থাকা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার মিশন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মার্কিন সেনাকে বিপজ্জনক ও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে। এই মিশনের কতটা সফল হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কী হবে তা এখনই বলতে পারছি না কিংবা এর ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হবে কিনা তাও এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ‘জুলাই মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার মানুষকে বিমানের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ১৫ আগস্ট কাবুলের দখল নেয় তালেবানরা। ১৪ আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ১৩ হাজার মানুষকে বিমানে করে উদ্ধার করা হয়েছে। আমেরিকা ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশ এত বড়মাপের উদ্ধার কাজ চালাতে পারতো না।

বাইডেন বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে একটি বিষয় জানাতে চাই, কোনো আমেরিকান যদি দেশে ফিরতে চায়, তাদের আমরা দেশে ফেরাবো। কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে আমি এতটুকু বলতে পারি, সবাইকে নিরাপদে ফেরাতে আমাদের যত শক্তি আছে, সবই প্রয়োগ করা হবে’

এক সাংবাদিক বাইডেনকে প্রশ্ন করেন, ‘কোনো মার্কিন যদি বিমানবন্দরে পৌঁছতে না পারেন, সেক্ষেত্রে কি মার্কিন সেনা বা কেউ তাকে বিমানবন্দরে নিয়ে আসতে সাহায্য করবে?’

-এই প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘তালেবান মার্কিন পাসপোর্টধারীদের আটকাচ্ছে না। তালেবানের সাথে আমেরিকার চুক্তি হয়েছে। মার্কিন পাসপোর্টধারী কাউকেই বিমানবন্দরে আসা থেকে আটকানো হবে না তালেবানের পক্ষ থেকে।’

যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যের উল্টো তথ্য দিয়ে তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরগামী মার্কিন সেনাদের পিটিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানে বর্তমানে কতজন মার্কিন রয়েছেন, এই বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণাই নেই মার্কিন প্রশাসনের। তা সত্ত্বেও বাইডেন এদিন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা এটা করতে পারবো।’

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থার জন্য অনেকেই আমেরিকাকে দায়ী করছেন। প্রশ্ন উঠছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিদেশনীতি নিয়েও। প্রায় ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে থাকার পর হঠাৎ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত, ২০ বছরেও তালিবান সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করা, এতো দীর্ঘ সময়েও আফগান সেনাকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দেওয়া-এমন নানাবিধ অভিযোগ আমেরিকার বিরুদ্ধে।

অনেকে আবার আফগানিস্তানে তালেবানি উত্থানের পিছনে মার্কিন ষড়যন্ত্রের তত্ত্বও তুলে ধরেছেন।

আরও পড়ুন:

বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকতে পারলেই ঠাঁই হবে আমেরিকায়, রটনার জেরে হুলস্থুল

 

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর