হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমামতি করেছেন তার মামা ও হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে হাটহাজারী দারুল উলূম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসার ভেতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভীড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী কফিন মাদ্রাসা মাঠ থেকে ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই জানাজা পরিচালিত হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শীর্ষস্থানীয় আলেমরা জানাজায় যোগ দেন। এছাড়া চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক এবং হেফাজতে ইসলামের শত শত নেতা-কর্মী জানাজায় অংশ নিতে ছুটে আসেন। সন্ধ্যার পর থেকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের ঢল নামে।
জানাজা শেষে হাটহাজারী দারুল উলূম মাদ্রাসার কবরস্থানে হেফাজতের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফির পাশে জুনায়েদ নগরীকে দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারী সিএসসিআর হাসপাতালে জুনায়েদ বাবুনগরীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
এর আগে হাটহাজারী দারুল উলূম মাদ্রাসা থেকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জুনায়েদ বাবুনগরীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাটহাজারী দারুল উলূম মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক জুনায়েদ বাবুনগরী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
আল্লামা শাহ আহমদ শফির মৃত্যুর পর ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর হেফাজতে ইসলামের সম্মেলনে আমির নির্বাচিত হয়েছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন।
১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য ছাত্র ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।