শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪ | ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৬ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

চমেক ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ: মহানগর আ.লীগ ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩০ এপ্রিল, ২০২১ ৪:০০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে নগর আওয়ামী লীগ। অপরদিকে চমেক শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছে নগর ছাত্রলীগ।

গেল মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) চমেক ক্যাম্পাসের ক্যাফেটোরিয়ার সামনে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। এসব ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তারা সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। অপরদিকে কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা হলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী।

এ ঘটনার জেরে ওই দিন সন্ধ্যার পর চকবাজার থেকে ছাত্রলীগের অন্তত দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী চমেক ক্যাম্পাসে ডা. মিজান হোস্টেলে ঢুকে নাছিরের অনুসারী সেই ইন্টার্ন চিকিৎসদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. হাবীবুর রহমান ও ডা. ওয়াসিম সাজ্জাদ রানাসহ আরও তিনজন আহত হয়।

এই সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার (২৮ এপ্রিল) নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন একটি বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে তারা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

পরদিন বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর চমেকের কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। নগর ছাত্রলীগের সাথে মহানগর আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দিন ধরে দূরত্ব চলে আসছে।

চমেকে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের করেছে।

বুধবার রাত (২৮ এপ্রিল) ১০টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা করেছেন আ জ ম নাছিরের অনুসারী ডা. হাবীবুর রহমান নামের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে অভিজিৎ দাশকে। এছাড়া চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজসহ আরও ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী রিয়াজুল ইসলাম জয় বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা ঠুকে দেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকবাজার এলাকার যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া র‍্যাবের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী নূর মোস্তফা টিনু ও চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের নেতৃত্বে বহিরাগতরা চমেক ক্যাম্পাসে গিয়ে হামলা চালায়। নূর মোস্তফা টিনু ও সুভাষ মল্লিক সবুজ আগে সাবেক মন্ত্রী ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসির বলয়ে থাকলেও এখন তারা শিক্ষা-উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলে সাথে ভিড়েছেন।

জানা যায়, চমেকে নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা সেদিন নূর মোস্তফা টিনু ও সুভাষ মল্লিক সবুজের সহায়তা চেয়ে তাদের ক্যাম্পাসে ডেকে নিয়ে আসে।

চমেকের একটি সূত্র জানায়, সেদিন সংঘর্ষের সময় আ জ ম নাছিরের অনুসারীদের সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুল আলম লিমনও ক্যাম্পাসে ছুটে গিয়েছিলেন। চট্টগ্রামে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে সংঘাতে জোড়া খুনের মামলার আসামি লিমন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের ঘনিষ্ঠ। তবে লিমন সেদিন চমেক ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না বলে রাজনীতি সংবাদের কাছে দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন:

https://rajnitisangbad.com/2021/04/29/%e0%a6%9a%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%a4%e0%a6%a6/

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর