শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৩ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

অবশেষে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা কাদের মির্জার


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩১ মার্চ, ২০২১ ১:১০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

অবশেষে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আজ বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২ টায় ফেইসবুক লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ফেইসবুক লাইভে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি সব অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকবো না। আমি আর প্রশ্নবিদ্ধ হতে চাই না, আমি দল থেকে বিদায় নিচ্ছি। এতদিন আ.লীগের মির্জা ছিলাম। আওয়ামী লীগের মির্জা আজ থেকে আমি নেই। কোনো শক্তি আমাকে আর আ.লীগের মির্জা বানাতে পারবে না। আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি সেখানে থেকেই কাজ করবো। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি একসাথে না পারলেও আস্তে আস্তে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদেরকে দল থেকে বের করে দিন। আপনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, কিন্তু আপনার প্রশাসন মাদককে সহযোগিতা করছে।’

মেয়র কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘দিনের বেলা আলাদা রাজনীতি করলেও রাতের বেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি মিলে হোটেলে এক হয়ে যায়। এরা জাতীয় অপকর্ম পার্টি গঠন করেছে।’

ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) পদপদবীর জন্য অপশক্তিদের কাছে মাথা নত করেছেন। যেদিন আমার ছোটভাই (দেলোয়ার) ফাঁসি দিয়ে মারা গেছে, সে দিনই তার সাথে (ওবায়দুল কাদের) সম্পর্ক মানসিকভাবে দূরে সরে গেছে।’

এরপর তিনি তার ফেইসবুক আইডিতে স্ট্যাটাসে লিখেছেন-
‘আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম

১. ভবিষ্যতে কোনো রকম কোনো জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না
২. ভবিষ্যতে আমি কোনো রকম কোনো দলীয় পদ-পদবির দায়িত্ব নেব না

-আবদুল কাদের মির্জা
মেয়র, বসুরহাট পৌরসভা’

উল্লেখ্য, কাদের মির্জা নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মেয়র নির্বাচনের আগে থেকে মির্জা কাদের দলের কিছু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। তিনি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের বিরেুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেন। গণমাধ্যমে তাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হয়েও তিনি নানা ইস্যুতে অবরোধ হরতাল করে আসছিলেন। তাকে নিয়ে দল বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বলেও বহু নেতা অভিযোগ করেন। অবশেষে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিলেন মির্জা কাদের।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর