নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে আদালতে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোছলে উদ্দিন মিজানের আদালতে মামলা দুটি দায়ের হয়।
একটি মামলার বাদী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন রুনু। তার স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধরের ঘটনায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে তিনি মামলাটি করেন। মামলায় মির্জার ভাই শাহাদাত হোসেনকে দ্বিতীয় ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাসিককে তৃতীয় আসামি করা হয়েছে।
অপর মামলার বাদী হলেন উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন পিটন। তিনি কাদের মির্জার অনুসারী। উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে প্রধান আসামি করে আরও ১০৪ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা দুটির বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. হারুনুর রশীদ হাওলাদার ও শংকর ভৌমিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তারা জানান, দুপুরে দুটি মামলার অভিযোগের ওপর শুনানি হবে। এরপর আদালত আদেশ দিবেন।
বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত আলাউদ্দিনের ভাই এমদাদ হোসেন গতকাল রোববার একই আদালতে আবদুল কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। শুনানি শেষে এই হত্যার ঘটনায় ইতোমধ্যে কোথাও কোনো মামলা হয়েছে কিনা তা আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে জানাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ কাদের মির্জার উপস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এর প্রতিবাদে ৯ মার্চ বিকেলে বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে এক প্রতিবাদসভাকে কেন্দ্র করে আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানু রহমান বাদল সমর্থিতরা রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ ও শতাধিক আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগকর্মী ও সিএনজি অটোরিকশাচালক আলাউদ্দিন মারা যায়। এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশির হাটে এই দু’গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও ৩৫ জন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করলে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান।
