সাম্প্রতিক রাজনীতিতে আলোচিত নোয়াখালী বসুরহাটের নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ‘পাগল’ আখ্যায়িত করে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, ‘পাগলারে আমি চিনি না, জীবনে কখনো দেখি নাই, জীবনে যাই নাই নোয়াখালী। পরিচিতি চান? নেতা হইতে চান? পাগলামি কইরা নেতা হওয়া যায় না। সরকারের উচিত এই সব পাগল যথা শীঘ্রই পাবনায় পাঠানো। না হলে গণধোলাই এমন খাবে যে চেহারা চেনা যাবে না।’
আজ রোববার (১৭ জানুয়ারি) ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার চৌধুরীকান্দা সরদরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বিকেলে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। ভাঙ্গা সদরপুর ও চরভদ্রাসন থেকে নির্বাচিত এই সাংসদ যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ভাঙ্গা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ এর উদ্যোগে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
নিক্সন চৌধুরী বলেন, পাগলারে পাবনায় আটকান। নইলে এমন গণধোলাই খাবেন পালানোর পথ পাবেন না। পাগলদের স্থান রাস্তায় না। আমি সরকারকে অনুরোধ করছি। পাগলকে পাবনা পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। এর আগে ১৩ জানুয়ারি এক নির্বাচনী সভায় কাদের মির্জা সাংসদ নিক্সনকে জড়িয়ে একটি বক্তব্য দেন, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ওই বক্তব্যে মির্জা কাদের অভিযোগ করেন, বর্তমান সাংসদ নিক্সন তাকে চুনোপুঁটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর জবাবে মির্জা কাদের বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরী সাহেব আপনি বলেছেন চুনোপুঁটিদের কথা কে শোনে। নিক্সন সাহেব আপনার বয়স কত। আমার রাজনৈতিক বয়স আপনার বয়সের চেয়ে বেশি। আপনি ভোট চুরি করে ত্যাগী নেতা কাজী জাফরউল্ল্যাহকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সংবর্ধনা সভায় সাংসদ নিক্সন চৌধুরী আরও বলেন, আর একটা কথা কইতে মন চাইতেছে। না কইয়া পারি না। আগে দুই-একটা ভাঙ্গার পাগল আমারে নিয়া কথা কইত। আমি এত বড় নেতাই হইছি এখন ভিনদেশি পাগল আমার উপর খ্যাপছে। তারে আমি কিছু কইছি? তারে আমি চিনি? জীবনে নাম শুনছি? সে কয় আমি ভোট ডাকাতি কইরা এমপি হইছি। পাগলা স্বপ্নে না দেখলে এমন কথা কইতে পারে না।
গত সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তার এলাকায় হয়েছে উল্লেখ করে নিক্সন বলেন, আমি কি ভোট ডাকাতি করেছি। বাংলাদেশে নির্বাচন হইলে একটাই নির্বাচন হয়েছে ভাঙ্গাসহ এই তিন উপজেলায়।
ভাঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. বাকী মাতুব্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান।
