বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ | ১১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৪ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীকে কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বললেন

রাজাকারের সন্তানদের দ্বারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা যাবে না


রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:৩৪ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনরায় চালুর দাবির পক্ষে সংহতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই কোটা বাতিলের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবারের মূল্যায়ন প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই করবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজাকারের সন্তানদের দ্বারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা যাবে না। প্রশাসনে যদি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের লোক না থাকে, তাহলে সেখানে তারা সেই গান গাইবে, যা পাকিস্তান আমলে গাইত।

শনিবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ‘শহীদ সন্তান-৭১’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা প্রবর্তনের দাবি ওঠে। এতে সংহতি জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।

সভায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৫ ডিসেম্বরকে জাতীয় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের নাতি-নাতনিদের উত্তরাধিকার সুবিধা প্রদান এবং সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা প্রবর্তন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ২৫ শতাংশ রাজনৈতিক কোটা নির্ধারণ, স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী পরিবারের তালিকা প্রণয়ন এবং যুদ্ধাপরাধী সন্তানদের বয়কট ও রাজাকারের তালিকা দ্রুত প্রস্তুত করে বিচার নিশ্চিত করা।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতার প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, যারা খোলাফায়ে রাশেদীনের জামানায় তিন খলিফাকে হত্যা করেছিল, আর বলেছিল আমরা ইসলামের জন্য হত্যা করেছি। তারাই আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিতে চায়। পাকিস্তান সৃষ্টির পর তারা ধর্মের নাম নিয়ে বলেছিল বাংলা শিক্ষা করা নাজায়েজ, হিন্দু-নাসারাদের ভাষা শিখলে ইসলাম থাকবে না। এই উগ্রপন্থীরাই বলেছিল, ইংরেজি শিক্ষা করা হারাম। যার ফলে মুসলমানরা শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে একশত বছর পিছিয়ে গিয়েছে। সত্তরে তারা বলেছিল, শেখ মুজিবকে নৌকায় ভোট দিলে ধর্ম চলে যাবে। এরা সবসময় ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেশের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতে চায়। তাদের প্রধান সমস্যা হল, তারা দেশের উন্নয়নকে সহ্য করতে পারে না।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মুক্তির সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও মুক্তিযোদ্ধা কবির আহম্মেদ ভূঁইয়া, ‘শহীদ সন্তান-৭১’ সংগঠনের সভাপতি ড. সেলিনা রশীদ, আইইবির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন, বিশিষ্ট আইনজীবী জাকির আহম্মেদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান অধ্যাপক এমএ হাফিজ ও এমদাদুল হক।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর