বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দিনে তিনবার সরকারের সমালোচনা করেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ তিন বিএনপি নেতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তারা দিনে তিনবার সমালোচনা করেন আর বলেন যে, তাদের কথা বলার কোনো অধিকার নাই। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, একটি মিছিল বের করতে চাইলে আমাদের ওপর লাঠিপেটা করা হতো। বহু লাঠির বাড়ি আমার ঘাড়ে-পিঠে আছে।’
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্যভবন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ আয়োজিত প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই এ দেশে গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি এই গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে ২০১৩-১৪-১৫ সালে আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল, নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়েও নেয়নি, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্রকে ব্যাহত করা।’
বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘বিজয় মিললেও মুক্তি মিলেনি’ এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) সবসময় বিভ্রান্তির মধ্যে ভোগেন এবং তা থেকে মানুষকেও বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালান। উন্নয়নের বিষয়ে তাদের আমি আইএমএফ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পরিসংখ্যান দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ থেকে থেকে দুই হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের হার ৪১ থেকে ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে- এগুলো পড়লে বিভ্রান্তি কেটে যাবে। অবশ্যই সমালোচনা করবেন কিন্তু নিজের বিভ্রান্তি থেকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা কখনই দেশ ও জাতির জন্য শুভ নয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, দেশকে আরো এগিয়ে নিতে, ২০৪১ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষের মনন তৈরিতে, তৃতীয় নয়ন খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং দায়িত্বশীলদের আরো দায়িত্ববান করার ক্ষেত্রে, সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।