বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরালের নিরাপত্তায় পাহারা দিয়েছেন চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবকরা।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে সংগঠনটির বরিশাল জেলা ও মহানগর কর্তৃক আয়োজিত বিজয় র্যালি পূর্ব সমাবেশের সময় এ দৃশ্য দেখা যায়।
এসময় সদর রোড, ফজলুল হক অ্যাভিনিউসহ আশপাশে এলাকায় অবস্থিত মন্দিরগুলোতেও পাহারা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক কেএম শরীয়তউল্লাহ বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে নগরীতে র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করা হয় । সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো দুষ্কৃতিকারী যাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল এবং মন্দির ও গির্জায় হামলা চালিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাতে না পারে, সে জন্য আমরা সেসব স্থানগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবক দিয়েছি।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মুসলমানদের অবস্থান কি ছিল, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তা ভালো করেই জানেন। নতুন করে সেটা প্রমাণ করতে বক্তব্য বিবৃতি জরুরী নয়। তবে যারা ইসলামকে বিকৃত করার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারদের পরিচয় তুলে ধরতে ইসলামের সিম্বলগুলো ব্যবহার করেন, তাদেরকে একটি বার্তা দিতে চাই, আপনারা সতর্ক হোন। নিজেদের রাজাকার তকমা ঢেকে রাখতে ইসলামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না, এর ফলাফল কখনো শুভ হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন গল্প-সিনেমা-নাটক এবং তথ্যচিত্রে রাজাকারদের পরিচয় তুলে ধরতে ইসলামী সিম্বল ব্যবহার করে সেসব নির্মাতাদের সংশোধনের চেষ্টা করুন।
ফয়জুল করীম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নির্মাণ ও পরিচালনায় ইসলাম ছিল প্রাধান্য বিস্তারকারী এক শক্তি। মুক্তিযুদ্ধকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ‘আল্লাহর পথে জিহাদ’ বলে পরিচয় করে দিয়েছে। বেতার কেন্দ্রের সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে মাঠ পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণাই ছিল ইসলাম।
