বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ২২ কার্তিক, ১৪৩১ | ৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা ফটো গ্যালারি

কোটি টাকার রাজকীয় খাট, কী আছে এতে?


প্রকাশের সময় :৭ জানুয়ারি, ২০২৩ ৭:৪১ : অপরাহ্ণ
ঢাকার পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একটি আসবাবপত্রের স্টলে উঠানো হয়েছে বিশাল আকৃতির এই রাজকীয় খাট। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একটি আসবাবপত্রের স্টলে উঠানো হয়েছে বিশাল আকৃতির কোটি টাকার একটি রাজকীয় খাট। খাটের চার কোণে ডানা মেলে দাঁড়ানো অবস্থায় রয়েছে চারটি কাঠের তৈরি পরী। সেই পরীদের ডান হাতে রয়েছে আবার প্রজাপতি। ওই চারটি পরীর মাথার ওপর থেকে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত কাঠের ফ্রেম।

খাটের পায়ের পাখা, জলম এবং বক্সের অংশে রয়েছে ছোট বড় আরও ১২টি পরী সদৃশ্য। পুরো খাটজুড়ে রয়েছে হাতে খোদাই করা নকশা।

যদি কোনো রাজা মহারাজা থাকতেন তবে দৃষ্টিনন্দন পরী পালং ওই খাটের দিকে তাদের নজর আটকে যেতো। রাজার শোয়ার ঘরেই শোভা পেতো খাটটি। তা যতো দামই হোক না কেন।

সেগুন কাঠ দিয়ে সম্পূর্ণ হাতে খোদাই করে বানানো ওই খাটের দাম চাওয়া হচ্ছে ১ কোটি টাকা। অত্যাধুনিক কারুকাজের এই খাটটি দেখতে মেলার স্টলটিতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার গুইমারা ইউনিয়নের মুসলিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা কাঠমিস্ত্রি মো. আবু বক্কর (৩৫) এই রাজকীয় খাট তৈরি করেছেন।

শখের বসে খাটটি বানিয়েছেন গুইমারা ইউনিয়নের ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো. নুরন্নবী।

শখের বশে বানালেও তিনি খাটটি বিক্রি করতে নিয়ে এসেছেন ঢাকা বাণিজ্য মেলায়।

মো. নুরন্নবী বলেন, ‘আমরা শুনেছি আগেকার দিনের রাজা-বাদশাহরা এ ধরণের খাট ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই সম্পূর্ণ মনের মাধুরী দিয়ে শখের বশে খাটটি বানিয়েছি। বাণিজ্য মেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে উৎসুক লোকজন খাটটি দেখতে আসছেন। দেশের কোথাও এমন খাট আর একটাও নেই বললে চলে।’

তিনি জানান, খাটটি বানাতে খরচ হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। মিস্ত্রীকে পারিশ্রমিক বাবদ দেওয়া হয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ঢাকার এক ব্যক্তি খাটটি ৭০ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়েছেন। আমি এক কোটি হলে খাটটি বিক্রি করবো।

নুরন্নবী জানান, এই খাটের সঙ্গে উপহার হিসেবে একটি এফ জেড মোটরসাইকেল এবং ১ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হবে।

কাঠমিস্ত্রি মো. আবু বক্কর জানান, অত্যাধুনিক কারুকাজের মাধ্যমে এই খাট তৈরি করতে ৩ বছর ৩ মাস সময় লেগেছে। খাটটি তৈরিতে কোনো ক্যাটালগ ব্যবহার করা হয়নি। খাটটিতে ১৬টি পরী, ৪টি প্রজাপতি ও ৪টি চাঁদ রয়েছে। এটি তৈরি করতে ৮৫ ঘনফুট সেগুন কাঠের প্রয়োজন হয়েছে।

একটি কলমের দাম ২৬ হাজার টাকা!

ক্রেতার নজর কাড়তে ব্যবসায়ীরা কতই না কৌশল করেন। কখনও অবাক হয়ে কিংবা চোখ কপালে তুলে সেই কৌশলে বুঁদ হন দর্শনার্থীরা। যেমনটা ঘটেছে এবারের ঢাকা বাণিজ্য মেলায়। এক কলমেই মাত করেছে একটি দোকান। এক কলমের দাম যে ২৬ হাজার টাকা! বাণিজ্য মেলায় পাইলট ব্র্যান্ডের স্টলে এই কলমটি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

জাপানি কলম প্রস্তুতকারক কোম্পানি পাইলট করপোরেশন এই কলম তৈরি করেছে। দেশে পাইলট কলমের একমাত্র পরিবেশক কিউ অ্যান্ড কিউ ট্রেডিং লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি।

কিউ অ্যান্ড কিউ ট্রেডিংয়ের জ্যেষ্ঠ ব্র্যান্ড নির্বাহী মারজুক আল হক জানান, সাধারণত ক্যালিগ্রাফি, কারসিভ ধরনের লেখা, স্বাক্ষর করা, সনদপত্র লেখা ইত্যাদি কাজে ব্যবহার হয় ২৬ হাজার টাকা দামের এ কলমটি।

৩০ গ্রাম ওজনের কলমটির নিবে রয়েছে ১৪ ক্যারেট মানের সোনার প্রলেপ। এ ছাড়া কলমটির সঙ্গে থাকছে একটি কালির বাক্স। যেটাতে ৭০ মিলিলিটার কালি রয়েছে। কাস্টম ৮২৩ মডেলের দুই রঙের ফাউন্টেন কলম মেলায় আনা হয়েছে। এর একটি কালো ও অন্যটি কফি রঙের।

আরও পড়ুন: মেসি কত টাকার মালিক, সেই অর্থ খরচ করেন কীভাবে

মন্তব্য করুন


আরও খবর