সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তিনি হাসপাতালের ৮৩৩ নম্বর কক্ষে ভর্তি ছিলেন।
ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ছালেহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
নূরুল ইসলাম সুজনের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘিতে।
নূরুল ইসলাম সুজন ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তাকে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী-এমপি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মিলিয়ে ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, ১৪-দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী রয়েছেন।