রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৮ মার্চ, ২০২৪ ২:৩৪ : অপরাহ্ণ
সরকারি বিভিন্ন সংস্থা রেস্তোরাঁয় অভিযানের নামে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙচুর ও সিলগালা করছে বলে অভিযোগ করেছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। অভিযান বন্ধ না হলে আগামী বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচি এবং পরবর্তীতে এক দিনের জন্য সারাদেশে সব রেস্তোরাঁ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটি।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।
সম্প্রতি রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের পর রেস্তোরাঁয় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার অভিযানের নামে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রেস্তোরাঁ বন্ধ কোনো সমাধান নয় জানিয়ে ইমরান হাসান বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করা যেতে পারে। দেশের রেস্টুরেন্ট খাতের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে রক্ষা করুন। নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে পরামর্শ দিন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। রমজান মাসে সিলগালা নাটক বন্ধ করুন। সরকারি সব সংস্থার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে অবহেলার জন্য ব্যবসায়ীরা দায়ী নয়।
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব বলেন, রেস্তোরাঁ শিল্পটি মনিটরিং করে প্রায় ১২টি সংস্থা। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল দেশের সব রেস্টুরেন্ট সেবাকে একটি সংস্থার অধীনে এনে লাইসেন্স দিতে। লাইসেন্স সহজীকরণ বলতে বুঝাচ্ছি যে, লাইসেন্স করতে হলে এমন কিছু ডকুমেন্ট চাওয়া হয় যা বাস্তবসম্মত নয় বা প্রদান করাও সম্ভব নয়। লাইসেন্স গ্রহণের প্রক্রিয়া জটিল করে অসাধু-উপায়ে ম্যানেজ করার জন্য বাধ্য করা হয়।
ইমরান হাসান বলেন, এখন সময় এসেছে রোস্তোরাঁসমূহে হয়রানি বন্ধ করে বন্ধ রেস্তোরাঁগুলো এখনই খুলে দেওয়ার। কেননা রেস্তোরাঁ শিল্পগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে চলমান মাসের বেতন-ভাতাদি ও বোনাস দিতে হবে। রেস্তোরাঁ যদি বন্ধ থাকে তাহলে রেস্তোরাঁর মালিক কীভাবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে বেতন ভাতাদি ও বোনাস প্রদান করবে?