রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৪ মার্চ, ২০২৪ ১০:৪১ : পূর্বাহ্ণ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’র অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ৭২ মাইল দূরে অবস্থান করছে।
আজ বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ৭২ মাইল দূরে অবস্থান করছে।
গত ৪ মার্চ বাংলাদেশের এস আর শিপিংয়ের ১৩ মিটার গভীরতার জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর পর গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে খবর আসে, ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জলদস্যুরা জিম্মি করেছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, জিম্মি ২৩ নাবিক
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা নাবিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা আছেন ১১ জন। বাকিরা ফেনী, নোয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার। আক্রান্ত নাবিকদের সবাই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা।
এখন বড় প্রশ্ন জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে কতদিন লাগবে?
এর আগে ২০১০ সালে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজ জাহান মণি মুক্তি পেতে লেগেছিল ১০০ দিন।
নিজের এক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সাবেক মেরিনার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সাধারণত নিজেদের সমুদ্র সীমায় ছোট ছোট স্পিডবোটে ব্যবহার করে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জলদস্যুরা। তবে আব্দুল্লাহর ক্ষেত্রে ঘটেছে ব্যতিক্রম। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে আন্তর্জাতিক জলসীমায় এসে ছিনতাই করে এই জাহাজটিকে।
সাবেক এই মেরিনার বলছেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে নাবিকদের ছাড়া পেতে লাগতে পারে ১ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত। কেননা, মুক্তিপণ দাবির পর তা নিয়ে দরকষাকষিসহ নানা প্রক্রিয়া রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোপন অডিও বার্তায় ঘটনার যে বর্ণনা দিলেন জিম্মি জাহাজের চিফ অফিসার
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফির্সাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, নানা প্রক্রিয়া শেষ করে সব নাবিকসহ জাহাজটিকে মুক্ত করতে বেশ সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি সমঝোতাই মুক্তির মূল উপায়।
সাবেক মেরিনারদের মতে, মুক্তিপণ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখলে কোন নাবিকেরই ক্ষতি করে না জলদস্যুরা। তাই, এমভি আবদুল্লাহর ক্ষেত্রেও যেহেতু মালিক প্রতিষ্ঠান সব কিছু করতে আগ্রহী, তাই ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।
আরও পড়ুন: সোমালি জলদস্যু কারা, কীভাবে তাদের উত্থান