রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৮ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ, জিম্মি ২৩ নাবিক


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১২ মার্চ, ২০২৪ ৬:৩১ : অপরাহ্ণ
প্রতীকী ছবি
Rajnitisangbad Facebook Page

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ ‘এম ভি আবদুল্লাহ’। সোমালিয়া থেকে প্রায় ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্রে অন্তত ১০০ দস্যু জাহাজটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ওই জাহাজে কর্মরত ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক দস্যুদের কাছে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবর জানতে পারে জাহাজটির কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে তৈরি ১৯০ মিটার লম্বা এসআর শিপিংয়ের এই জাহাজটি গত বছর এসআর শিপিংয়ের বহরে যুক্ত হয়। এরপর সাধারণ পণ্য পরিবহন করে আসছিল জাহাজটি।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম বলেন, ‘জলদস্যুর কবলে পড়া জাহাজটিতে ২৩ জন নাবিক ও ক্রু রয়েছেন। ঘটনার পর তারা আমাদের মেসেজ দিয়েছে। তারা জিম্মি থাকলেও নিরাপদে আছেন। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিলো। পথে ভারত মহাসাগরে এটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।’

১৪ বছর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ ‘জাহান মণি’। নিকেলভর্তি ওই জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়েছিল।

দীর্ঘ চেষ্টার পর ১০০ দিনের মাথায় জলদস্যুদের কবল থেকে জাহাজটি সোমালিয়া থেকে ওমানের সালালা বন্দরে যায়। একটি ছোট উড়োজাহাজে করে সোমালিয়ার জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছে দেয়া হয়। এরপর নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী কেএসআরএমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং ২০০৪ সালে তাদের প্রথম জাহাজ কেনে। ‘এমভি ফাতেমা জাহান’ ছিল তাদের প্রথম জাহাজ। দেশে এখন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা ৫২। এগুলোর মধ্যে ২৩টি কেএসআরএম গ্রুপের। আর এক দশকেই সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে জাহাজ পরিচালনা ব্যবসায় নেতৃত্ব দিচ্ছে গ্রুপটি।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর