সোমবার, ৬ মে, ২০২৪ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে মা-মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে


রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, নোয়াখালী প্রকাশের সময় :৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৩:১০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘরের সিঁধ কেটে চুরি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী ও কিশোরী স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের একটি নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী নারীর মা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দুজনকে তার মেয়ে (৩২) ও নাতনি (১২) চিনতে পেরেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাউকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে হাতিয়া থেকে এসে চরকাজী মোখলেছ গ্রামে নতুন বাড়ি করে একজন দিনমজুর। ওই বাড়িতে তার স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ বসবাস করতে তিনি। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন জায়গা কাজ করতে গেলে ২-৩ দিন পর বাড়ি ফিরে আসতেন ওই দিনমজুর। গত দুই দিন আগে কাজের সন্ধানে তিনি বাড়ির বাইরে যান। এ সময় বাড়িতে তিন মেয়েকে নিয়ে ছিলেন ওই গৃহবধূ। রাত ২টার দিকে ঘরের সিঁধ কেটে ভিতরে প্রবেশ করে একজন। পরে সে ঘরের দরজা খুলে দিলে আরও দুজন ভিতরে প্রবেশ করে।
এদের মধ্যে দুজন পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে এবং একজন তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ওই গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘরে থাকা স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা। গভীর রাতে শিশুদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে গৃহবধূর বাঁধন খুলে দেয় এবং বিষয়টি চরজব্বার থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

চরজব্বার থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছায়। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ ওই বাড়িতে অবস্থানে ছিল। সকালে ভুক্তভোগীদের থানায় আনা হয়েছে, পরে তাদের চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা প্রক্রিয়াধীন এবং আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ওই দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদন্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সাথে তাদের অর্থদন্ডও করা হয়। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সেই একই উপজেলায় পূর্বের গণধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণার দিন রাতেই আবারো এ উপজেলায় এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলো। দুঃখজনকভাবে গণধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবারই আলোচনায় আসছে সুবর্ণচর উপজেলা।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর