শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা অন্যান্য দল

শমসের-তৈমুরসহ তৃণমূল বিএনপির সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত


তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি অন্তরা সেলিমা হুদা ও মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। ফাইল ছবি

রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ৬:৩৯ : অপরাহ্ণ

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমশের মুবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার ও নির্বাহী সভাপতি অন্তরা সেলিমা হুদাসহ দলটির সকল প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

বিএনপিবিহীন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হবে তৃণমূল বিএনপি-ভোটের আগে নতুন নিবন্ধিত দলটির চেয়ারপারসন ও মহাসচিব একাধিকবার এ কথা বলেছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থীও দিয়েছিল ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপি। কিন্তু নির্বাচনে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি দলটি।

নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, একটি নির্বাচী এলাকায় যত ভোট পড়ে তার শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ কোনো প্রার্থী না পেলে প্রার্থিতার সঙ্গে জমা দেওয়া জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হয়।

সিলেট-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী। এই আসনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সরওয়ার হোসেন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৮৮টি ভোট। এই আসনে তৃতীয় হয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী, তাঁর ভোট সংখ্যা ১০ হাজার ৯৩৬।

নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। ১২৮টি কেন্দ্র মিলিয়ে তৈমুর আলম খন্দকার তাঁর সোনালী আঁশ প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯০ ভোট। তৈমুর তৃতীয় স্থান লাভ করেছেন। অন্যদিকে বিজয়ী প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভুঁইয়া কেটলী প্রতীকে পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট।

মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী সভাপতি অন্তরা সেলিমা হুদা। এই আসনে নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯৫ হাজার ৮৬০। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের গোলাম সারোয়ার কবির পেয়েছেন ৬১ হাজার ৫৪০ ভোট। ১৭ হাজার ৯৩৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব কুলা প্রতীকের প্রার্থী মাহি বি. চৌধুরী। আর ৬ হাজার ৩৩৭ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন অন্তরা সেলিমা হুদা।

তৃণমূল বিএনপি সারা দেশের ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। দলটির প্রায় সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দলটির বেশ কয়েকজন প্রার্থী ১০০ ভোটেরও কম পেয়েছেন। যেমন নাটোর-৪ আসনে দলটির প্রার্থী আব্দুল খালেক সরকার পেয়েছেন ৭২ ভোট।

ভোটে দলের প্রার্থীদের এমন ফলাফলের বিষয়ে কথা বলতে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। দুজনের ফোন নম্বরই বন্ধ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন:

সমঝোতা করেও জাতীয় পার্টির ভরাডুবি

কপাল পুড়লো যেসব আলোচিত প্রার্থীর

ভোটের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর