রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ১১:০৫ : অপরাহ্ণ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কূটনৈতিকদের ব্রিফ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও আন্তর্জাতিক মিশন প্রধানসহ সবমিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের বেশি কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।
তবে ইসির নির্বাচন পরিস্থিতির এই ব্রিফিংয়ে আসেননি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। দুজনই দূতাবাস থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ব্রিফিংয়ে রাশিয়া, জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক, কানাডা সুইজারল্যান্ড, আর্জেন্টিনাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংকালে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন বিদেশি কূটনীতিকরা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কূটনীতিকদের বলেছেন, ভোটারদের ভোট দিতে কোনো চাপ দেওয়া হচ্ছে না, বরং ভোট দিতে আসার জন্য বোঝানো হচ্ছে।
কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের রাষ্ট্রদূতের উপস্থিত না থাকা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘হয়ত ওনাদের অন্য কোনো ইয়ে আছে। ওনাদের প্রতিনিধি এসেছে। আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ করেছি। আমি আমার চোখের হিসেবে বলতে পারি, বেশিরভাগ এসেছে। আমার মনে হয় ৫০-এর মতো হবে।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা কম প্রশ্ন করেছেন। পশ্চিম দেশের দুই একজন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি বলেছি, আপনারা আরও প্রশ্ন করতে পারতেন। কম করলেন কেন? এ বিষয়ে তারা (কূটনীতিকরা) জানিয়েছেন, ইসির সঙ্গে তাদের সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা অনেক আপডেটেড, তাই তারা প্রশ্ন কম করেছেন।’
ব্রিফিংয়ে কূটনীতিকরা আশ্বস্ত হয়েছে কি না-জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘সেটা তারা বলতে পারবেন। আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। এটাতো চেহারা দেখে বলা মুশকিল। তারা ইন্ডিভিজুয়ালি সেটিসফাইড কি না এটা বলা মুশকিল। তবে ইলেকশন কমিশন যথাসাধ্য বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। উনাদের পক্ষ থেকে আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নাই। ৭ তারিখ যদি জনগণ ভোট দিতে আসে তাহলে উনাদের চেষ্টা সফল হবে।’