সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা আঞ্চলিক রাজনীতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

চট্টগ্রামে জোটকে তিনটি আসন ছাড়তে পারে আওয়ামী লীগ


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৬:০৪ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দলটি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের শরীকরা জানিয়েছে, তাদেরকে যেসব আসন ছাড়া হবে, সেখানে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকতে পারবেন না। তাদের দাবির মুখে আওয়ামী লীগ নৌকা সরাতে রাজি হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে টানাপোড়েন চললেও ১৪ দলের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ভোট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকে তিনটি আসন ছেড়ে দিতে পারে।

গত ৬ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাড়িতে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির কয়েকজন শীর্ষ নেতা। বৈঠকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগকে ৫০টি আসনের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দুটি আসন রয়েছে।

জাতীয় পার্টির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজনীতি সংবাদকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ দুটি আসন হলো-চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ও চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী)।

এদিকে ১৪ দলের শরীক তরিকত ফেডারেশন এবারও আওয়ামী লীগের কাছে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনটি চেয়েছে।

এই তিনটি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-২ ও চট্টগ্রাম-৫ আসন জোটকে ছাড়ের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ থেকে ইতোমধ্যে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম-৮ আসন ছাড়ের ব্যাপারে এখনো সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি।

চট্টগ্রামে এই তিনটি আসন জোটকে ছেড়ে দেওয়া হলে নৌকার তিন প্রাথীর কপাল পুড়বে।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালামকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ। আর চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনিকে।

হাটহাজারীতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হলেন দলটির কো-চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। চান্দগাঁও-বোয়ালখালী আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হলেন সোলায়মান আলম শেঠ। আর ফটিকছড়িতে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী হলেন দলটির চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী।

চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের শরিক হিসেবে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) তরিকত ফেডারেশনকে, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) জাতীয় পার্টিকে এবং চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনটি জাসদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসনে হাটহাজারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবার যেকোনো মূল্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ঠেকাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে সমঝোতার অংশ হিসেবে এই আসনটি এবারও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ। ফলে জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সামনে থেকে নৌকার প্রার্থী এম এ সালামকে সরে যেতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ সালাম রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম-৫ আসন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে আমার বিশ্বাস, এবার আসনটি নৌকার হাতেই থাকবে। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী তার জনপ্রিয়তা যাচাই করতে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দেখুক।’

১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনের পর ১০টি সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কেউ এমপি হয়নি। এই আসন থেকে জোটগতভাবে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি হয়েছেন। এর আগে তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনেও এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

দলীয় একটি সূত্র বলেছে, আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম-৫ আসনটি এবারও জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিবে-এটা মাথায় রেখে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

জাতীয় পার্টির একটি সূত্র বলেছে, জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দলের অন্যতম নীতিনির্ধারক আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তাই আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনও বাগিয়ে আনতে পারে জাতীয় পার্টি। তবে নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদের কাছ থেকে আসনটি ছিনিয়ে নিতে বেগ পেতে হবে সোলায়মান আলম শেঠকে।

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, নোমান আল মাহমুদ একজন আপাদমস্তক সৎ ও পরিচ্ছন্ন নেতা। তিনি দলের নিবেদিতপ্রাণ একজন নেতা। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর গত ৭ মাসে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। ফলে তার মতো একজন ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজের নেতাকে সরিয়ে দেওয়াটা অন্যায্য হবে।

এই আসনে গত উপনির্বাচনেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন সোলায়মান আলম শেঠ। তবে পরে তিনি সরে দাঁড়ান। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমে খাগড়াছড়ি আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে জাতীয় পার্টি খাগড়াছড়ি থেকে তাকে এই আসনে নিয়ে আসে।

জাতীয় পার্টি চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ গত তিনটি সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি কয়েকবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু কখনো তার কপাল খুলেনি। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কি তার কপাল খুলবে?

জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানিয়েছে, সোলায়মান আলম শেঠ ছাড়া চট্টগ্রামে জাতীয় পার্টির দ্বিতীয় আর শক্তিশালী প্রার্থী নেই। তবে চট্টগ্রাম-১৫ (বাঁশখালী) আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী প্রার্থী হলেও দলের প্রভাবশালী নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে তার আসনটি জোটের তালিকায় স্থান পায়নি। ফলে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন সোলায়মান আলম শেঠ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সহজে জাতীয় পার্টিকে চট্টগ্রাম-৮ আসনটি দিতে চাইবে না। তবে জাতীয় পার্টি যদি জোরালোভাবে দাবি করে তাহলে আওয়ামী লীগ আসনটি ছেড়ে দিতে পারে।

জানতে চাইলে সোলায়মান আলম শেঠ রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে এই আসনটি আওয়ামী লীগ ১৪ দলের শরীক দল জাসদকে ছেড়ে দিয়েছিল। আশা করছি, এবার তারা আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিবে। আমি এমপি হলে চট্টগ্রাম-৮ আসনকে রাউজানের মতো সাজাবো।’

২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনটি আওয়ামী লীগ ১৪ দলের শরীক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদলকে ছেড়ে দিয়েছিলো। এই আসনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তিনি মারা যান। এরপর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তিনি ৩ বছরের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান।

এরপর গত ২৭ এপ্রিল এই আসনে দ্বিতীয় উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোমান আল মাহমুদ রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও জোটগতভাবে চট্টগ্রাম-৮ আসনটি ছেড়ে দেওয়া হবে কি না তা আমি জানি না। নৌকার প্রার্থী হিসেবে আমি ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে নেত্রী দলের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তা আমি মাথা পেতে নেবো।’

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেয়ে আশায় বুক বেধেছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। কিন্তু এবারও তার কপাল পুড়তে যাচ্ছে। তিনি ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে। সনি এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু দুইবারই তাকে নৌকা থেকে নামিয়ে দেন নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।

তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে এবার যে কোনো মূল্যে ঠেকানোর চ্যালেঞ্জ করেছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা নজিবুল বশরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারলেন না। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কাছ থেকে এবারও নৌকা কেড়ে নিচ্ছেন তিনি।

জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে চট্টগ্রাম-২ আসনটি ছাড়ের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তিনি এবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলের বৈঠকে আমাকে চট্টগ্রাম-২ আসনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। তবে আওয়ামী লীগের কাছে আমরা আরও একটি আসন চেয়েছি।’

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়িতে যারা এবার আমাকে ঠেকাতে চেয়েছিলো, তারা নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীকে চিনেনি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি।

তিনি রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ‘দল যখন আসনটি জোটের প্রার্থীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানাবে, আমি তখন প্রতিক্রিয়া জানাবো।’

ফটিকছড়ি আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এর আগে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনেও নৌকার টিকিটে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়েছিলেন নজিবুল বশর। কিন্তু নির্বাচনে তিনি হেরে যান। এরপর বিএনপি ছেড়ে তিনি তরিকত ফেডারেশন নামে নতুন একটি দল গঠন করেন।

আরও পড়ুন:

ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মহিউদ্দিন বাচ্চু, মনজুর আলমের পেছনে কে

সুমনকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন না লতিফ

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর