রাজনীতি সংবাদ প্রতিনিধি, গাজীপুর প্রকাশের সময় :৯ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:৩১ : অপরাহ্ণ
গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত কারখানা শ্রমিকদের ওপর বেধড়ক লাঠিপেটা করেছে র্যাব-পুলিশ। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিক আন্দোলনের জেরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, জরুন, চান্দনা ও ভোগরা এলাকায় ৫০টির বেশি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুর নগরীর চান্দনা এলাকায় কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা নাওজোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তার ওপর কাঠ ও বাঁশ ফেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বাসন থানার পুলিশ, র্যাব ও শিল্প পুলিশ। তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এ সময় শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট মহাসড়কে ধরিয়ে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ বলেন, সকালে চান্দনা এলাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তবে নাওজোড়সহ আশপাশের কয়েকটি কারখানায় তারা ভাঙচুর করেন। আগুন ধরিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর এবং কোনাবাড়ীসহ আশপাশের এলাকায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। বিক্ষোভে কয়েকদিনে দুই শ্রমিক নিহতের ঘটনাও ঘটে।
গত ৭ নভেম্বর পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে মজুরি বোর্ড। ওই সিদ্ধান্তে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট না হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন। এদিন পুলিশের ছোড়া গুলিতে আঞ্জুয়ারা বেগম (২৪) নামের এক নারী শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া জামাল উদ্দিন নামে আরও এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে নারী পোশাক শ্রমিক নিহত
ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভের ডাক পোশাকশ্রমিকদের