রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ১:৫৭ : অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভকালে গ্রেপ্তার ও দমনপীড়ন বন্ধ করতে সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
সংগঠনটি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন শক্ত হাতে ভিন্নমত দমনের পূর্ণ প্রচেষ্টা। ভিন্নমত প্রকাশ কখনোই অপরাধ নয়।
গতকাল সোমবার প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ক্যাম্পেইনার ইয়াসাসমিন কবিরত্নে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিক্ষোভকারীদের ওপর ঘনীভূত দমনপীড়ন ভিন্নমত দমনের পূর্ণ প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের মনে রাখা উচিত যে, ভিন্নমত প্রকাশ কখনোই অপরাধ নয়।’
এ সময় তিনি সরকারের প্রতি প্রত্যেকের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।
ইয়াসাসমিন কবিরত্নে বলেন, ‘বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিক্ষোভকারীদের ওপর ঘনীভূত দমনপীড়ন ভিন্নমত দমনের পূর্ণ প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের মনে রাখা উচিত যে, ভিন্নমত প্রকাশ কখনোই অপরাধ নয়।’
সরকারের প্রতি প্রত্যেকের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পরে হত্যাকাণ্ড, গ্রেপ্তার ও নিপীড়ন দেশটির মানবাধিকারের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। তাই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আবারও বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন হলে পদক্ষেপ নেবে যুক্তরাষ্ট্র
বিবৃতিতে ইয়াসাসমিন বলেন, ‘যেসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে পুলিশকে সেগুলোর নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও স্বচ্ছভাবে সেগুলোর তদন্ত করতে হবে। যাতে যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা যায় এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ ছাড়া তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়। এ বিষয়টিই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখতে হবে।’
অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কতিপয় ব্যক্তি সহিংসতাকে হাতিয়ার করেছিলেন। পুলিশকে অবশ্যই বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং অল্প কয়েকজনের সহিংসতার কারণে অন্যদের অধিকার সীমিত করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
অ্যামনেস্টির বিবৃতে বলা হয়, ‘নির্বাচনের আগে এমন সহিংসতা উত্তেজনা উসকে দেবে। বাংলাদেশের সরকারকে অবশ্যই এ ধরনের পরিস্থিতি প্রশমনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং সম্ভাব্য উত্তেজনা প্রশমনে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন শক্তি প্রয়োগ করতে তখন তারা অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে চলবে।’