সর্বনিম্ন মজুরির দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে বিশৃঙ্খলা ও বিক্ষোভ চলতে থাকলে তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র নিজস্ব ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে মালিক-শ্রমিক ও সরকারের অংশীজনেরা কাজ করে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটার কোনো কারণ নাই। তার পরও যদি এই ঘটনাগুলো অব্যাহত থাকে, তাহলে মালিকপক্ষ জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে।’
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে লক্ষ করছি যে বহিরাগতদের উসকানিতে গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিক ভাই-বোনেরা কাজ না করে কারখানা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুর করছে। ফলে অনেকে বাধ্য হচ্ছে কারখানা বন্ধ করে দিতে।’
আরও পড়ুন:
গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ, গুলিতে একজন নিহত
সাভার ও আশুলিয়ায় পুলিশ-শ্রমিক দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ৩০
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমি শ্রমিক ভাই-বোনদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনাদের অবদানের কারণে তৈরি পোশাকশিল্প এই পর্যায়ে আসতে পেরেছে। আপনারা এমন কিছু করবেন না, যাতে তৈরি পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং ক্রেতাদের আস্থা বিনষ্ট হয়। তারা তৈরি পোশাকশিল্প থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলে আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং আপনারা কর্মসংস্থান হারাবেন।’
কারখানার মালিকেরা দেশের অর্থনীতি ও পোশাকশিল্প সচল রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে বিজিএমই সভাপতি বলেন, ‘আমি মালিকদের জানাতে চাই, দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থান সুরক্ষার স্বার্থে যদি কোনো কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ না করে, তাহলে আপনারা কারখানা বন্ধ করে দিতে পারেন।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘শ্রম আইনের ১৩/১ ব্যবহার করে মালিকপক্ষ পোশাক কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে। শ্রম আইনের এই ধারায় কারখানা বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের বেতন পাওয়ার বিধান নেই।’