রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ৩:২৩ : অপরাহ্ণ
রাজধানীর নয়াপল্টন, কাকরাইল, বিজয়নগর, ফকিরাপুলেসহ বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের তুমুল সংঘর্ষ চলছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করেছে। বিজিবির জনসংযোগ বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষতদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে হঠাৎ করেই দুপুর আড়াইটার দিকে দুইদিকে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় তারা অতর্কিতভাবে সমাবেশস্থলে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে। এ সময় নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। মঞ্চ থেকে সটকে পড়েন বিএনপি নেতারা। এতে পণ্ড হয়ে যায় মহাসমাবেশ।
বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ কাকরাইল মোড় থেকে ধীরে ধীরে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়তে ছুঁড়তে পল্টনের দিকে এগিয়ে যায়। একসময় মুহুর্মুহু রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে।
এদিকে কালভার্ট মোড়, পুরানা পল্টন ও সেগুনবাগিচা এলাকায় সমমনা দল ও জোটের নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে পুলিশ।
বিএনপি, গণঅধিকার, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে ওসব এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর করেছেন তাঁরা। এই সংঘর্ষে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পল্টন, বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও ফকিরাপুলে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
আরও পড়ুন: কাল সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিলো বিএনপি