রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ১১:০৮ : পূর্বাহ্ণ
বিএনপির নয়াপল্টনের মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে তাণ্ডব ও সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি একে নজিরবিহীন ও ন্যাক্কারজনক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সম্পূর্ণ মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালিয়েছে।
আজ শনিবার রাতে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের এবং পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিফলন বিএনপির কর্মসূচিতে সশস্ত্র এবং রক্তাক্ত আক্রমণ। বেশ কয়েকদিন ধরে পুলিশের গণগ্রেপ্তার, হামলা, হুমকি-ধমকি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঠি হাতে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণারই বাস্তবায়ন হয়েছে শনিবার।
আরও পড়ুন:
নয়াপল্টনে গুলিতে যুবদল নেতা নিহত
ফকিরাপুলে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত
রাজধানীতে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আ.লীগের তুমুল সংঘর্ষ, বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মহাসমাবেশে যোগদানে বিরত রাখতে গ্রেপ্তার ও মামলার হিড়িক চালায় সরকার। কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হয়ে যখন দেখলো মহাসমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে, মহাসমাবেশ কাকরাইল ছাড়িয়ে পশ্চিমপার্শ্বে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে, তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠি-অস্ত্র নিয়ে বিএনপির লোকদের ওপর হামলা করে। তারা গুলি করতে করতে, রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ছুড়তে ছুড়তে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত চলে আসে। পুলিশের টিয়ারশেল ও গুলির ঘটনায় মঞ্চে থাকা সিনিয়র নেতারাও মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত হন। এ সময় অসংখ্য নেতা-কর্মীও আহত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শনিবার সকাল থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে পুলিশ বিএনপির দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আটকদের মুক্তি, আহতদের সুস্থতা এবং রোববারের হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।