রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১:৩৩ : অপরাহ্ণ
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত এই রায় দেন।
এর আগে দুপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরআগে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
আইনজীবী আমানউল্লাহ আমান অসুস্থ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দানের প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হওয়ায় আমানকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেওয়ারও আবেদন জানান আইনজীবী।
আদালত কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালত এলাকায় আসেন আমানউল্লাহ আমান। এ সময় কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির কয়েক শ সমর্থক আমানের সঙ্গে আসেন। আমানের আত্মসমর্পণকে ঘিরে তারা মিছিল সমাবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে আত্মসমপর্ণের পর আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে ২৮১ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছর এবং সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরে এ দম্পতি রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল আবেদন মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে মামলাটির পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে পুনঃশুনানি শেষ হয়। পরে ৩০ মে হাইকোর্ট এ রায় দেন। এরপর গত ৩০ মে হাইকোর্ট এ মামলায় আমানের ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।