রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৭:১৪ : অপরাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতির প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এই দেশ, এই মাটি আমাদের। আমরাই সবকিছু ঠিক করবো।
তিনি বলেন, ‘নৌকা সারাজীবন উজান ঠেলেই এগিয়েছে। উজান ঠেলেই এগিয়ে যাবে।’
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশতো ছয় ঋতুর দেশ। কখনো বর্ষা, ঝড়, জলোচ্ছাস, রৌদ্রোজ্জ্বল আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কিছু দেখে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। তাই আজকে যারা আন্দোলনের নামে রোজ আমাদের ক্ষমতা থেকে ফেলে দিতে চান তাদের এবং এখানে যারা উপস্থিত সকলের উদ্দেশে কবির ভাষায় বলতে চাই-‘মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে; হারা শশীর হারা হাসি অন্ধকারেই ফিরে আসে’। ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের জনগণ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।’’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে নাকি গণতন্ত্র চোখে দেখে না, গণতন্ত্র উদ্ধার করবে। যাদের জন্মই হয়েছে অগণতান্ত্রিকভাবে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, উচ্চ আদালত যাদের ক্ষমতা গ্রহণকে অবৈধ ঘোষণা করেছে তারা কী গণতন্ত্র দেবে?’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘নৌকা মার্কা স্বাধীনতা দিয়েছে, নৌকা মার্কা অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়েছে, নৌকা মার্কা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছে। নৌকা মার্কাই স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে।’
রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগের উন্নয়নে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেশের মানুষের জন্য আরেকটি উপহার উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আজ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করা হয়েছে। এটা আপনাদের উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখা যায় না। মেট্রোরেল, উড়াল সড়ক উদ্বোধন করলাম। এগুলো সবই জনগণের স্বার্থে। সারাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবনীয় উন্নতি করেছি। আমরা চাই, আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাবে।’
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দরের পাশে কাওলা টোল প্লাজায় টোল দিয়ে বহুল প্রত্যাশিত স্থাপনা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলক উন্মোচন মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা।
অনুষ্ঠানস্থলে তাদের স্বাগত জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর বোতাম চেপে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসেওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রীকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে ব্রিফ করেন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
এরপর ছোটবোন শেখ রেহানসহ গাড়িবহর নিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চড়ে আগারগাঁওয়ে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার গাড়িবহরে ২৫টি গাড়ি ছিল। গাড়িবহরের সবগুলো গাড়ির টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি ২০০০ টাকা দেন।
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ভ্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী । ১৬ মিনিট পর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট প্রান্তে নামেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ের সুধী সমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন