যুদ্ধাপরাধের মামলায় বহুল আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালিকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি গবেষণারত তানজিলুর রহমান নামের এক বাংলাদেশি প্রবাসী। তানজিলুর রহমান ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দেওয়ার পর গত ২০ আগস্ট খুলনায় গোপনে বৈঠকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তার বৃদ্ধা মা আনিসা সিদ্দিকাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
আনিসা সিদ্দিকাকে (৫৮) গ্রেপ্তারের ঘটনায় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস আজ রোববার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছে।
তারা পোস্টের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘যুক্তরাষ্ট্রে ছেলে অনলাইনে সরকারের সমালোচনা করায় বাংলাদেশে মাকে গ্রেপ্তার’ শিরোনোমে একটি রিপোর্টও শেয়ার করেছে।
এতে বলা হয়েছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের একটি অপরিহার্য উপাদান। এই নিবন্ধে অভিযোগগুলো সত্য কিনা সে বিষয়ে ঢাকা মার্কিন দূতাবাসের কোনো মন্তব্য নেই। তবে আমরা এই সত্যকে সাধুবাদ জানাই যে, গণমাধ্যমটি (এনবিসি) প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মন্তব্যের জন্য তিনটি সরকারি সূত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এটি সাংবাদিকতার সংহতির বড় লক্ষণ।
২০ আগস্ট খুলনায় অন্তর্ঘাতমূলক ষড়যন্ত্র করার জন্য সমবেত হওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নারীর স্বামী আলমগীর শিকদারের দাবি, তার স্ত্রী কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তার ছোট ছেলে তানজিলুর রহমান আমেরিকায় পিএইচডি গবেষণারত ও বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী। তানজিলুর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে। এজন্য আমার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে হঠাৎ করে পুলিশ আসে। তাকেসহ আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। পরে শুনলাম জামায়াতকর্মী হিসেবে মামলা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে ছেলে পোস্ট দেওয়ায় মাকে গ্রেপ্তার, যা বললো অ্যামনেস্টি